ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাবেন যেভাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
  • ২০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেটে গ্যাস, বমি ভাব, পেট ফুলে ওঠে বা চিনচিন করে ব্যথা করে—এমন সমস্যা হলেই মুঠো মুঠো গ্যাস্ট্রিকের বড়ি খান, অথবা অ্যাসিডিটির সিরাপ খান। তাতে খানিকটা আরাম মেলে অবশ্য, কিন্তু সেই সমস্যা যদি আবার হয় তখন?কেমন হয়  যদি ঘরোয়াভাবে এ রোগটি খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক নির্মূল করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই রেহাই পাবেন, দেখে নিন কীভাবে…

কলা খেতে আমরা সকলেই কমবেশি ভালবাসি। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এর বিকল্প হয় না। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা করে কলা খান খালি পেটে। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি উপকার পাবেন। তবে ১-২ টা কলা ঠিক আছে। কোনও কিছুই বেশি খাওয়া উচিৎ নয়।

তুলসী পাতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তুলসী পাতা পাকস্থলীতে শ্লেষ্মার মতন পদার্থ উৎপাদনে সাহায্য করে। সকালে উঠে আপনি চা খান তো! ওই চায়ের মধ্যে কয়েকটা তুলসী পাতা ফেলে দিন। চায়ের সঙ্গে ফুটতে দিন, খালি পেটে সেই চা খান, এতে চায়ের স্বাদ হবে দারুণ। আর আপনিও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। কারো যদি সকালে চা খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে তিনি হালকা গরম পানিতে তুলসী পাতা দিয়ে খেতে পারেন।

মুহূর্তেই আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে পারে মৌরি। খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খেলে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে খান। কিংবা গরম পানিতে মৌরির সঙ্গে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এইভাবেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

আদা-রসুন গ্যাস-অম্বলের হাত থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। আদা খাওয়ার খুব তাড়াতাড়ি হজম করায়। তাই খাওয়ার আধ থেকে এক ঘণ্টা আগে আদা কুঁচি করে বিটনুন দিয়ে খান। এতে খাওয়ার পরে অম্বলের সমস্যা থাকবেনা। রসুন শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাওয়ার জলদি হজম কয়ায়।

টকদই, যার কোনও বিকল্প নেই। টকদইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি হতে দেয় না। এর সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আরও ভাল ফল মিলবে। টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী বানায়।

এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ০৩:৩৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেটে গ্যাস, বমি ভাব, পেট ফুলে ওঠে বা চিনচিন করে ব্যথা করে—এমন সমস্যা হলেই মুঠো মুঠো গ্যাস্ট্রিকের বড়ি খান, অথবা অ্যাসিডিটির সিরাপ খান। তাতে খানিকটা আরাম মেলে অবশ্য, কিন্তু সেই সমস্যা যদি আবার হয় তখন?কেমন হয়  যদি ঘরোয়াভাবে এ রোগটি খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক নির্মূল করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই রেহাই পাবেন, দেখে নিন কীভাবে…

কলা খেতে আমরা সকলেই কমবেশি ভালবাসি। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এর বিকল্প হয় না। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা করে কলা খান খালি পেটে। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি উপকার পাবেন। তবে ১-২ টা কলা ঠিক আছে। কোনও কিছুই বেশি খাওয়া উচিৎ নয়।

তুলসী পাতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তুলসী পাতা পাকস্থলীতে শ্লেষ্মার মতন পদার্থ উৎপাদনে সাহায্য করে। সকালে উঠে আপনি চা খান তো! ওই চায়ের মধ্যে কয়েকটা তুলসী পাতা ফেলে দিন। চায়ের সঙ্গে ফুটতে দিন, খালি পেটে সেই চা খান, এতে চায়ের স্বাদ হবে দারুণ। আর আপনিও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। কারো যদি সকালে চা খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে তিনি হালকা গরম পানিতে তুলসী পাতা দিয়ে খেতে পারেন।

মুহূর্তেই আপনার গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে পারে মৌরি। খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খেলে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানিতে মৌরি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে খান। কিংবা গরম পানিতে মৌরির সঙ্গে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এইভাবেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

আদা-রসুন গ্যাস-অম্বলের হাত থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। আদা খাওয়ার খুব তাড়াতাড়ি হজম করায়। তাই খাওয়ার আধ থেকে এক ঘণ্টা আগে আদা কুঁচি করে বিটনুন দিয়ে খান। এতে খাওয়ার পরে অম্বলের সমস্যা থাকবেনা। রসুন শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাওয়ার জলদি হজম কয়ায়।

টকদই, যার কোনও বিকল্প নেই। টকদইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি হতে দেয় না। এর সঙ্গে বিট লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আরও ভাল ফল মিলবে। টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী বানায়।

এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।