বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে জাপান আগ্রহ দেখিয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে তার দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানবি এবং জাইকার কান্ট্রি ডাইরেক্টর মিকিও হাতাডেয়া সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা জাপানি অর্থায়নে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পসহ মাতারবাড়ী প্রকল্প, সাবওয়ে লাইন ও সার্কুলার রোড় ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপান বন্ধুপ্রতীম দু‘টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। মন্ত্রী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে জাপান সরকারের সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের গেটওয়ে হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্বলিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর হবে একটি আধুনিক নান্দনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে ট্রানজিট পয়েন্ট এবং দেশের পর্যটন বিশেষ করে ‘রিলেজিয়ান ট্যুরিজম’ এর বিকাশে আমাদের একটি আধুনিক আন্তর্জতিক বিমানবন্দর প্রয়োজন।
তিনি বর্তমান সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগখাতসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জাপানি রাষ্ট্রদূত এবং জাইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর আধুনিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠাসহ প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। তার সরকারের এসকল উদ্যোগকে অত্যন্ত সময়োপযোগী আখ্যায়িত করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।