স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকা- বন্ধ হবে। এর ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধিত হবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
স্পিকার আজ জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম/রিম পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, সারাদেশে ব্যবহৃত প্রায় ১৩ কোটি সিমের পুনঃনিবন্ধন একটি বড় ধরনের কর্মযজ্ঞ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এ বিশাল কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। একটি আন্দোলনের মাধ্যমে এ কর্মকা-ে সারাদেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, জনকল্যাণ ও জননিরাপত্তা বিধানের জন্য এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের জনগণ যেকোন জনকল্যাণমূলক কর্মকা-ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে।
স্পিকার বলেন, বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনের এই উদ্যোগের সাথে জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে সম্পৃক্ত করায় তা সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে এ কার্যক্রমকে সফল করার আহবান জানান। তিনি বলেন, এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহাররোধে এ কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি একটি সমন্বিত প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে এ কর্মকা- সফল করার আহবান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ মোছা. মাহবুব আরা গিনি, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী এবং সংসদ সচিব
মো. আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।