বিশ্বের সেরা দশ দাপুটে সুন্দরী কোটিপতি

কোটি টাকার মালিক হতে সবাইকেই যে পরিশ্রম করতে হয় এমনটাও মোটেও নয়। কেউ পারিবারিক সূত্রে প্রভূত সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছেন, কেউ আবার বিবাহসূত্রে। কেউ আবার নিজ যোগ্যতায় অর্জন করে নিয়েছেন। বিশ্বে এমন বহু কোটিপতি রয়েছেন, যাঁদের সৌন্দর্য্যও নজরকাড়া। দেখে নেওয়া যাক, এমন দশ ডাকসাইটে সুন্দরী কোটিপতিদের।

নীতা আম্বানি : ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও স্থপতি নীতা আম্বানি এ দেশের সেরা মহিলা শিল্পপতিদের মধ্যে একজন। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা যে বাড়িতে থাকেন, সেটিও বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি। আম্বানী পত্নীর সম্পত্তির পরিসংখ্যান ও তাঁর রূপের চর্চা-ছড়িয়েছে দেশের গণ্ডীর বাইরেও। ২২.৩ বিলিয়ন ডলারপতির স্ত্রী বর্তামানে এ দেশের বিলাসবহুল ফুটবল লিগ আইএসএল-এরও শীর্ষকর্তাদের মধ্যে একজন।

এলিজাবেথ হোমস : বিশ্বের তৃতীয় কনিষ্ঠতম বিলিওনেয়ার হওয়ার পাশাপাশি ফোর্বসের তালিকায় আমেরিকার ৪০০ জন শীর্ষ ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন এলিজাবেথ হোমস। তাঁর সংস্থার সম্পত্তির পরিমাণ অন্তত ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। এলিজাবেথ একজন কলেজ ড্রপ আউট হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর যথেষ্ট দখল রয়েছে।

চু লাম ইউ : চীনের সবচেয়ে বড় সুগন্ধী তামাক প্রস্তুতকারক সংস্থার মালকিন চু লাম ইউ। তাঁর সংস্থা হুয়াবা ইন্টারন্যাশনাল কাপড় কাচার সাবান, পারফিউমের মতো কনজিউমারদের প্রোডাক্টও বানায়।

ঝাং জিন : ফের এক চীনা মহিলা শিল্পোদ্যগী জাং জিনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.৭ বিলিয়ন ডলার। বেজিংয়ের কমার্শিয়াল রিয়্যালটি জায়েন্ট ‘সোহো চাইনা’র মালকিন গত বছরই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় সবথেকে বেশি মূলধন লগ্নি করেছিলেন।

ভানিশা মিত্তল : লক্ষ্মী মিত্তলের মেয়ে ভানিশা মিত্তল বর্তমানে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মালকিন। দেশের ইস্পাত ব্যবসায় আইকন লক্ষ্মী মিত্তলের মেয়ে ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিলিওনেয়ার তালিকায় রয়েছেন ৬৪ নম্বরে।

শার্ল স্যান্ডবার্গ : ফেসবুকের অন্যতম কর্তা শার্ল স্যান্ডবার্গের সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন ডলার। উত্তর আমেরিকার ১০০ জন প্রভাবশালীর মধ্যে একজন শার্ল। হার্ভার্ডের বিজনেস স্কুল থেকে পাশ করে ফেসবুকের সি ও ও হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার আগে শার্ল পেশায় একজন লেখিকা ছিলেন।

কেরি পেরেডো : সিঙ্গাপুরে জন্ম। এখন বাস ফ্রান্সে। জনপ্রিয় এই মডেলের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার। বিয়ে করেছেন ফরাসি ধনকুবের হার্বার্ট পেরেডোকে।

অ্যরিন লডার জিনটাহোফার : পারিবারিক সূত্রে বিলিওনেয়ার। ইনার বাবা ওয়ার্ল্ড জিউশ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন ডলার। তাঁর নামেই বিশ্বের জনপ্রিয় হয়েছে ‘অ্যরিন’ ব্র্যান্ডটি।

সোফিয়া আব্রামোভিচ : রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচের কন্যা প্রতি ব্ছর ৯.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ইনি গ্লোবাল শো জাম্পিং প্রতিযোগিতা জিতেছেন।

মার্টা অর্টেগা পেরেজ : স্প্যানিশ বিউটি মার্টার বাবা আমানসিও অর্টেগা। এই সুন্দরীর সম্পত্তির পরিমাণ ৬.২ বিলিয়ন ডলার।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর