ঢাকা ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬০ ভাগ মানুষ স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে জনমত বাড়ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ মনে করে এখনই স্কুল খুলে দেয়া উচিত। তবে ৫৫ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করছেন না।

আর ৮৭ শতাংশ শিক্ষক স্কুলে যেতে নিরাপদ বোধ করছেন। এসডিজিবিষয়ক নাগরিক প্ল্যাটফর্মের অনলাইন জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ এবং প্রবীণ শিক্ষকনেতা কাজী ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সংলাপে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) যুগ্ম পরিচালক অভ্র ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোট ১ হাজার ৯৬০ জনের ওপর জরিপটি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অভিভাবক ছিলেন ৫৭৬ জন এবং শিক্ষক ছিলেন ৩৭০ জন। বাকিরা অন্য শ্রেণি-পেশার। ১৭ থেকে ২২ ফেব্র“য়ারি এই অনলাইন জরিপ পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্রুত স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে বলেছেন। তবে তারাও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়েছেন।

জরিপে অভিভাবকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, স্কুল খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে তারা অবগত কি না। জবাবে জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৮৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তারা এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত।

৪৫ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করছেন। ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, তাদের সন্তানরা স্কুল স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম না। এছাড়া ৬৭ শতাংশ অভিভাবক সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ফি দিতে আগ্রহী নন। ৫২ শতাংশ মানুষ স্কুল খুলে দেয়ার পর সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা বলেছেন।

৮৭ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, তাদের স্কুলের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রয়েছে। ৬৯ শতাংশ শিক্ষক অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনে সরকারি অনুদানের কথা বলেছেন। আর অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে জরিপে অংশ নেয়া অন্য শ্রেণি-পেশার ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন।

ভার্চুয়াল এই সংলাপে পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক স্কুল খুলে শ্রেণিভিত্তিক (একসঙ্গে সব শ্রেণি না করে নির্ধারিত শ্রেণি) ক্লাস শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে অন্য শ্রেণি-পেশার ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৮ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত এ ছুটি আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৬০ ভাগ মানুষ স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে

আপডেট টাইম : ১১:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে জনমত বাড়ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ মনে করে এখনই স্কুল খুলে দেয়া উচিত। তবে ৫৫ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করছেন না।

আর ৮৭ শতাংশ শিক্ষক স্কুলে যেতে নিরাপদ বোধ করছেন। এসডিজিবিষয়ক নাগরিক প্ল্যাটফর্মের অনলাইন জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ এবং প্রবীণ শিক্ষকনেতা কাজী ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সংলাপে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) যুগ্ম পরিচালক অভ্র ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মোট ১ হাজার ৯৬০ জনের ওপর জরিপটি চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অভিভাবক ছিলেন ৫৭৬ জন এবং শিক্ষক ছিলেন ৩৭০ জন। বাকিরা অন্য শ্রেণি-পেশার। ১৭ থেকে ২২ ফেব্র“য়ারি এই অনলাইন জরিপ পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্রুত স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে বলেছেন। তবে তারাও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়েছেন।

জরিপে অভিভাবকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, স্কুল খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার প্রণীত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে তারা অবগত কি না। জবাবে জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৮৭ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তারা এই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা সম্পর্কে অবগত।

৪৫ শতাংশ অভিভাবক বলেছেন, তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে নিরাপদ বোধ করছেন। ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, তাদের সন্তানরা স্কুল স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলতে সক্ষম না। এছাড়া ৬৭ শতাংশ অভিভাবক সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ফি দিতে আগ্রহী নন। ৫২ শতাংশ মানুষ স্কুল খুলে দেয়ার পর সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা বলেছেন।

৮৭ শতাংশ শিক্ষক মনে করেন, তাদের স্কুলের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রয়েছে। ৬৯ শতাংশ শিক্ষক অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহনে সরকারি অনুদানের কথা বলেছেন। আর অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে জরিপে অংশ নেয়া অন্য শ্রেণি-পেশার ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন।

ভার্চুয়াল এই সংলাপে পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক স্কুল খুলে শ্রেণিভিত্তিক (একসঙ্গে সব শ্রেণি না করে নির্ধারিত শ্রেণি) ক্লাস শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অভিভাবক ও শিক্ষক বাদে অন্য শ্রেণি-পেশার ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ স্কুল খুলে দেয়ার পক্ষে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৮ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত এ ছুটি আছে।