হাওর বার্তা ডেস্কঃ কথায় আছে- মাছে ভাতে বাঙালি। এই প্রবাদটি বাঙালি জাতির সঙ্গে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। তবে মাছে-ভাতে বাঙালি হলেও, ভাত খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে আমাদের অনেক বড় বাধা। অনেক সময় চিকিৎসকরা অনেককেই ভাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকেন। কারণ ভাত বেশি খেলে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্যদিকে মাছে তেমন সমস্যা না থাকায়, এতে বাধা-নিষেধ কমই থাকে।
তবে ভাত খেতে বাধা, এ নিষেধ যেন মানবার নয়! মেদ, ভুঁড়ি যতই বাড়ুক, এক বেলা ভাত না খেলে সারা দিনটাই যেন ‘মাটি’। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতে এমন বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি!
>> একটা ধারণা আমাদের অনেকের মধ্যেই প্রচলিত আছে যে, ভাত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে অন্য সব খাবারের মতোই নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে পারলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম ভাতে রয়েছে প্রায় ১০০ গ্রাম ক্যালরি।
> ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরে প্রচুর শক্তির যোগান দেয়। তবে ভাতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি থাকলেও এটি একটি লো ফ্যাট, লো সুগার জাতীয় খাবার। তাই ভাত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
>> ব্র্যান অয়েল বা চালের থেকে তৈরি তেল আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এই তেলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিয়মিত এই তেলের রান্না খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
>> ভাতে কোলেস্টেরল আর সোডিয়াম নেই। তাই যাদের হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাত খেতে পারলে উপকৃত হবেন।
>> ভাত একেবারেই গ্লুটেন মুক্ত একটি খাবার। অনেকেরই গ্লুটেন যুক্ত খাবার সহ্য হয় না। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত একটি ‘নন অ্যালার্জিক’ খাবার।