ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই গ্রামের অর্ধেক নারীই কুমারী, পাত্রের অভাবে হচ্ছে না বিয়ে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এমন একটি গ্রাম যেখানে শুধু সু’ন্দরী রমণীদের বসবাস। যেখানে নেই কোনো পুরুষ। আর তাই পাত্রের অভাবে বিয়েও হচ্ছে না সেসব নারীদের। কিছুদিন যাবত সেসব নারীরা পাত্রের সন্ধানে পুরুষদের আগমন জা’নাচ্ছেন তাদের গ্রামে।

দুই পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত একটি গ্রাম। নাম তার নোওয়া ডে করডেরিয়ো। জায়গাটি যতটা সুন্দর এই গ্রামের মেয়েগুলো ততটাই সুন্দর। এখানে বসবাসকারী যুবতীরা এই প্রথমবার নিজে’র যোগ্য সঙ্গীর খোঁ’জ শুরু ক’রেছেন। তবে শর্ত হলো বিয়ের পর বরকেও যে তার স’ঙ্গে থাকতে হবে। আপাতত ৬০০ জনের মধ্যে ৩০০ জন নারী যোগ্য পুরুষদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। গ্রামে থাকতে দেয়ার শর্তে যে পুরুষ রাজি হবে, তাদের স’ঙ্গে বিয়ে করবেন তারা।

কারণ তারা গ্রামের বাইরে বিয়ে করবেন না। আবার সেই গ্রামে নেই কোনো পুরুষ। তাই যেসব পুরুষরা তাদের স’ঙ্গে ওই গ্রামে বসবাস করবে সু’ন্দরীরা তাদেরকেই বর বানাবে। এমনই শর্ত সেই গ্রামের মেয়ে। বলছি, দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোওয়া ডে করডেরিয়ো গ্রামের কথা। এই গ্রামের বাসিন্দা ৬০০ এরও বেশি নারী।

মাত্র কয়েক জন নারী বিবাহিত। তারাও কখনো গ্রাম ছাড়েননি। সপ্তাহ শেষে মাত্র দুই দিনের জন্য তাদের স্বামী গ্রামে আসেন। ব্রাজিলের এই গ্রামের নারীরা বিয়ের জন্য উন্মুখ হলেও পাত্রের সংক’টে তা সম্ভব হয় না। গ্রামটিতে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীর সংখ্যাই বেশি।

যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি কুমা’রী নারী রয়েছে। এই গ্রামের নারীদের বিয়ের জন্য অবিবাহিত ছেলের সন্ধান পাওয়া একগাদা খড়ের মধ্যে সুঁচ খোঁ’জা মতোই ক’ঠিন কাজ। এখানকার মেয়েরা যতই চেষ্টা করুক না কেন বিয়ের জন্য তারা অবিবাহিত ছেলে খুঁজে পায় না। তাই এই সু’ন্দরী মেয়েগুলো বাধ্য হয়ে বিবাহিত ছেলের স’ঙ্গে ই বিয়ে করে নেয়।

তা না হলে যে এই সু’ন্দরী মেয়েদেরকে সারাজীবন কুমা’রীই থাকতে হবে। এই গ্রামের বয়স প্রায় ১২৮ বছরের মতো তার পরেও বাহিরের কোনো গ্রামের স’ঙ্গে এই গ্রামের স’স্পর্ক নেই । এই গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ মেয়ের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর।

এই গ্রামের নারীরা ছেলেদের উপর কোনোভাবেই নির্ভরশীল না। সেখানকার নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছেন মা’রিয়া সেলেনা ডেলিমা। ১৮৯০ সালে এক মেয়েকে তার ইচ্ছার বি’রুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি চলে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামটিতে। মা’রিয়া সেনহোরিনা ডে লিমা নামের সেই মেয়েটি ১৮৯১ সালে এই গ্রামের গোড়াপত্তন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এই গ্রামের অর্ধেক নারীই কুমারী, পাত্রের অভাবে হচ্ছে না বিয়ে

আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এমন একটি গ্রাম যেখানে শুধু সু’ন্দরী রমণীদের বসবাস। যেখানে নেই কোনো পুরুষ। আর তাই পাত্রের অভাবে বিয়েও হচ্ছে না সেসব নারীদের। কিছুদিন যাবত সেসব নারীরা পাত্রের সন্ধানে পুরুষদের আগমন জা’নাচ্ছেন তাদের গ্রামে।

দুই পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত একটি গ্রাম। নাম তার নোওয়া ডে করডেরিয়ো। জায়গাটি যতটা সুন্দর এই গ্রামের মেয়েগুলো ততটাই সুন্দর। এখানে বসবাসকারী যুবতীরা এই প্রথমবার নিজে’র যোগ্য সঙ্গীর খোঁ’জ শুরু ক’রেছেন। তবে শর্ত হলো বিয়ের পর বরকেও যে তার স’ঙ্গে থাকতে হবে। আপাতত ৬০০ জনের মধ্যে ৩০০ জন নারী যোগ্য পুরুষদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। গ্রামে থাকতে দেয়ার শর্তে যে পুরুষ রাজি হবে, তাদের স’ঙ্গে বিয়ে করবেন তারা।

কারণ তারা গ্রামের বাইরে বিয়ে করবেন না। আবার সেই গ্রামে নেই কোনো পুরুষ। তাই যেসব পুরুষরা তাদের স’ঙ্গে ওই গ্রামে বসবাস করবে সু’ন্দরীরা তাদেরকেই বর বানাবে। এমনই শর্ত সেই গ্রামের মেয়ে। বলছি, দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোওয়া ডে করডেরিয়ো গ্রামের কথা। এই গ্রামের বাসিন্দা ৬০০ এরও বেশি নারী।

মাত্র কয়েক জন নারী বিবাহিত। তারাও কখনো গ্রাম ছাড়েননি। সপ্তাহ শেষে মাত্র দুই দিনের জন্য তাদের স্বামী গ্রামে আসেন। ব্রাজিলের এই গ্রামের নারীরা বিয়ের জন্য উন্মুখ হলেও পাত্রের সংক’টে তা সম্ভব হয় না। গ্রামটিতে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীর সংখ্যাই বেশি।

যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি কুমা’রী নারী রয়েছে। এই গ্রামের নারীদের বিয়ের জন্য অবিবাহিত ছেলের সন্ধান পাওয়া একগাদা খড়ের মধ্যে সুঁচ খোঁ’জা মতোই ক’ঠিন কাজ। এখানকার মেয়েরা যতই চেষ্টা করুক না কেন বিয়ের জন্য তারা অবিবাহিত ছেলে খুঁজে পায় না। তাই এই সু’ন্দরী মেয়েগুলো বাধ্য হয়ে বিবাহিত ছেলের স’ঙ্গে ই বিয়ে করে নেয়।

তা না হলে যে এই সু’ন্দরী মেয়েদেরকে সারাজীবন কুমা’রীই থাকতে হবে। এই গ্রামের বয়স প্রায় ১২৮ বছরের মতো তার পরেও বাহিরের কোনো গ্রামের স’ঙ্গে এই গ্রামের স’স্পর্ক নেই । এই গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ মেয়ের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর।

এই গ্রামের নারীরা ছেলেদের উপর কোনোভাবেই নির্ভরশীল না। সেখানকার নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছেন মা’রিয়া সেলেনা ডেলিমা। ১৮৯০ সালে এক মেয়েকে তার ইচ্ছার বি’রুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি চলে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামটিতে। মা’রিয়া সেনহোরিনা ডে লিমা নামের সেই মেয়েটি ১৮৯১ সালে এই গ্রামের গোড়াপত্তন করেন।