হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কৃষিই বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির প্রাণ। অনাদিকাল থেকে এদেশের মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভর করে আসছে।
শনিবার ‘কৃষিবিদ দিবস ২০২১’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সব কৃষিবিদকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরিতে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। এ প্রেক্ষাপটে ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘কৃষিবিদ দিবস’ উদযাপন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্বাধীনতাত্তোরকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও কৃষির উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ-পুনর্গঠনে কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফলশ্রুতিতে আমরা এখন দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাশাপাশি শাকসবজি ও দেশীয় ফলমূলের ব্যাপক উৎপাদন জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিও প্রেক্ষাপটে দেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদাপূরণে কৃষিবিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবন, উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ-উৎপাদনে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও কীটনাশক-ব্যবহারে সচেতন হওয়া আবশ্যক উল্লেখ করে তিনি আশা করেন, কৃষিবিদরা তাদের জ্ঞান, মেধা ও শ্রম দিয়ে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখবেন। রাষ্ট্রপতি ‘কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।