হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভাগীয় শহরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রুখতে সারা দেশে সতর্ক আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা রুখে দিতে চায় আওয়ামী লীগ। রাজধানীর প্রতিটি অলিগলিতে আজ থেকে সতর্ক পাহারায় থাকবেন দলের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে। দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায়, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর উত্তরে এবং ৪ মার্চ ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সমাবেশের কর্মসূচি নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এদিকে গত শুক্রবারই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও দলের পক্ষে সারা দেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ, জনসংযোগের কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নিজ নিজ বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ পালটাপালটি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয় জানিয়ে সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের বলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এদিকে এরই মধ্যে সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের পর এবার তার ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হঠাত্ করে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণাকে রাজনৈতিক ‘দুরভিসন্ধি’ ও স্থিতিশীল সরকারকে ‘অস্থিতিশীল’ করার গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। তারা মনে করেন, বিএনপি কর্মসূচির আড়ালে সন্ত্রাস করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাই তাদের কর্মসূচির দিকে তীক্ষ নজর রাখছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের নামে আবারও জ্বালাও-পোড়াও করার আর কোনো সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই জন নেতা জানান, বিএনপি অহেতুক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো। জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।