ড্রোনপ্রযুক্তি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার পরপরই বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পড়েছে উটকো ঝামেলায়। এসব ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ড্রোনের কারণে বিমান অবতরণসহ নানা ক্ষেত্রেই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
এ জন্যই কি না ডাচ পুলিশ বেছে নিয়েছে এক অভিনব পদ্ধতি। তারা ঈগল পাখি দিয়ে ড্রোন সমস্যা মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘গার্ড ফ্রম অ্যাবোভ’ নামে একটি ডাচ প্রতিষ্ঠান এই পরিকল্পনার হোতা। তাদের পরিকল্পনা হলো ইউরোপের সহজলভ্য শিকারি পাখি, ‘টাকমাথা ঈগল’-এর মাধ্যমে অবাঞ্ছিত ড্রোনগুলো দূরে সরিয়ে রাখা।
প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেন ডি কেইজার বলেছেন, ‘শিকারি পাখির অন্যতম দুটি বৈশিষ্ট্য হলো এর গতি আর শক্তি। অনেক সময় দেখা যায়, অত্যাধুনিক সমস্যাগুলোর সমাধান একেবারে সাদামাটা পদ্ধতিতেই করা সম্ভব।’
এর আগে, শুধু বিগত বছরের অক্টোবর মাসেই ডাচ পুলিশ শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছিল, যারা প্রধান প্রধান এয়ারপোর্টের আশপাশ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে উড়ছিল।
শুরুতে ট্র্যাকিং প্রযুক্তি দিয়ে এসব ড্রোনকে সামলানোর কথা চিন্তা করা হলেও তুলনামূলকভাবে ঈগলের মাধ্যমে সমাধান অনেক সাশ্রয়ী ও সফল হওয়ার সুযোগ বেশি বলে মনে করছে গার্ড ফ্রম অ্যাবোভ।
তবে পরিবেশবাদীরা কিন্তু এই পদ্ধতিতে কিছুটা ত্রুটি দেখতে পারছেন। প্রপেলারচালিত ড্রোন পাকড়াও করতে গিয়ে শিকারি পাখিটিরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
তবে ডাচ পুলিশ জানিয়েছে, সবকিছু বিচার-বিবেচনা করেই তারা আরো কয়েক মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেতে চায়।