অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, যে লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান রাখার প্রচলন শুরু হয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়নি । সোমবার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকার লভ্যাংশের একটি চেক অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন আলী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিবিবিএল প্রত্যেক বছর আমাদেরকে ডিভিডেন্ড দেয়। সরকার প্রতি বছর বহু পয়সা আদায় করে ঠিকই। কিন্তু সরকার মালিকানাধীন ব্যাংক যখন আমাদেরকে ডিভিডেন্ড দেয়, এটা মনে হয় একটু ব্যতিক্রম ব্যাপার। কারণ আমাদের ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুব ভালো নয়। বিশেষ করে বড় বড় ব্যাংকের সমস্যা আছে। তাদেরকে আমাদের পয়সা দিতে হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যাংক আমরা রেখেছি কেন? বহু আগে বলা হত, কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা দরকার। দিস ওয়াজ দ্য ফিলোসফি অব পোস্ট ওয়ার ইউনাইটেড কিংডম আফটার ১৯৪৪। তখন ছিল, এ ধরনের এক-আধটা প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসাবে। হুইচ উড বি ফলোড। তাদের ট্র্যাডিশন, তাদের অ্যাক্টিভিটিস, তাদের কম্পেটিবিলিটি উইথ ল’, এগুলো অন্যের কাছে আদর্শ হবে। আই অনলি রিমেমবার দ্যাট ড্রিম। ইট নেভার অ্যাকচুয়ালি হ্যাপেন্ড।’
সার্বিকভাবে সরকারি খাত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও মন্ত্রী ডিবিবিএলের পাশাপাশি জনতা ব্যাংকেরও প্রশংসা করেন। মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে জনতা ব্যাংক এসেছিল, সেখানেও রেকর্ড ভালো। এটা এক হিসাবে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।
অনুষ্ঠানে ডিবিবিএল প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ তুলে মুাহিত বলেন, ‘দুটি প্রতিষ্ঠান একত্রিত করে এটা (ডিবিবিএল) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এগুলোকে বিশ্ব ব্যাংক সৃষ্টি করে। আমাদের দেশে কেবল নয় ভারত, কলম্বিয়া ইত্যাদি দেশেও করেছে।