বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সুসর্ম্পককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ভারত। আজ রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পককে ভারত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমরা এ সর্ম্পককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দেওয়া একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি করে হাইকমিশনার বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে ভারত সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
গত সাত বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি ৬.৫৫ শতাংশ অর্জনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটা সত্যিই অসাধারণ অর্জন। দুই দেশের জনগণের মধ্যে যাতায়াত বাড়াতে সীমান্তে আরও চেকপোস্ট বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী হিন্দিসহ ভারতের অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। সার্ক স্যাটেলাইট চালুর বিষয়টি তুলে ধরে হর্ষবর্ধন বলেন, বাংলাদেশ এতে যোগদান করতে পারে। জ্বালানি খাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের সহযোগিতার দেওয়ার আশ্বাস দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি হাইকমিশনারের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। আঞ্চলিক দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতার ওপরও জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ১৯৬৫ সালের আগের স্থল রুটগুলো ফের চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে ভারত, নেপাল ও ভুটানের পারস্পরিক সহযোগিতার কথাও বলেন তিনি। সীমান্ত চুক্তির জন্য ভারতের সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।