বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহামেদ এন.এম.আল-দিহাইমি বলেছেন, কাতার বাংলাদেশ থেকে আরও সাধারণ, দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনবল নিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, দু’দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও রপ্তানীযোগ্য খাতগুলো চিহ্নিত করতে শিগগিরই কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে একথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে কাতারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ কাতারের উন্নয়নের অংশীদার।’
তিনি কাতারে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের সততা ও কর্মদক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন বলেন ‘বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাতারের জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করছে।’
স্পিকার দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে কাতারের অর্থায়নে বাংলাদেশে নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ সম্ভাব্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কাতারে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী, কৃষিপণ্য, চা, সবজি ইত্যাদি রপ্তানী হচ্ছে।’
তিনি সিরামিকস, ফার্মাসিউটিক্যাল, চামড়াসহ অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানী করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহবান জানান।
স্পিকার কাতারের অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট ও পানি শোধনাগার তৈরির সম্পদিত চুক্তিসহ বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিয়কায়নে কাতার সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
স্পিকার দুদেশের সংসদীয় প্রতিনিধি সফরের মাধ্যমে পার্লামেন্ট ও সংসদ-সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।