সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি সংসদে

সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। সোমবার রাতে জাতীয় সংসদের অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তিনি।

বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কমনা করে জিয়াউল হক মৃধা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের প্রতি দলমত সব সচেতন মানুষের সমর্থন রয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানীর শাহবাগে এসব আন্দোলনকারীদের ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বয়স বাড়ান, জীবন বাঁচান। পুলিশি হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারী নেতাদের আটক করে অবরোধ থামিয়ে দিলেও বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

জিয়াউল হক মৃধা বলেন, সেশনজট, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে অনেক চাকরি প্রার্থীর বয়স ৩০ পেরিয়ে যায়। এ কারণে তারা সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অপর দিকে অনেক প্রতিভাবান ছেলে শুধু বয়সের হেরফেরের কারণে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। ফলে রাষ্ট্রও বঞ্চিত হয় তাদের সেবা থেকে। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স অনেক বেশি হলেও আমাদের দেশে কম। এটি একটি ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা। যার ফলে শিক্ষিত বেকারে দেশ ছেয়ে গেছে। অপর দিকে সব সরকারি দফতরে শূন্য পদের ছড়াছড়ি। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন- ‘চাকরিকালীন অবসরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অথচ চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো হবে না কেন?’

অবরোধকারীদের দাবি এখন সময়ের দাবি। আমার মনে হয় অবরোধকারীদের প্রতি দলমত সচেতন সব মানুষের সমর্থন রয়েছে। এমতবস্থায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। যোগ করে সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর