ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবার প্রতীক বরাদ্দ হলেই ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৫৪৫ বার

সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পরই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রচারণা চালানো যাবে। প্রথমবারের মত ইউপি নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়ায় চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা তাদের প্রতীক জানতে পারলেও প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

আর বিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল এবং দলের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বেশকিছু সংশোধনীসহ আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এই আচরণবিধি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালা মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে গেজেট প্রকাশ করবে কমিশন। এরপরই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, ইউপি আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলভিত্তিক পৌর ভোট করায় ওই আচরণবিধির আদলেই প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের প্রচারে বিধিনিষেধ রয়েছে আগের মতোই।

প্রথম ধাপে ৭৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন মার্চ মাসে এ নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে। এ সব ইউপির তালিকাও করেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ জানান, আগামী মার্চ মাসে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন করা হবে। প্রথম ধাপে কয়টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করা হবে তার একটা তালিকা করা হয়েছে। এগুলো এখন কমিশন সভায় উঠবে।

বর্তমানে দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে।

কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রচারের জন্য এখন আর কেউ তিন সপ্তাহের সুযোগ নিতে পারবে না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরই সবাই একসঙ্গে প্রচারে নামতে পারবেন।

বিদ্যমান আচরণবিধিতে রয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।

এটি সংশোধন করে এবার প্রস্তাব করা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।

ভোটের অন্তত তিন সপ্তাহ আগে (২১ দিন) প্রচারের বিধান না থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠনিক প্রচার শুরুর প্রথা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটের তফসিলে প্রত্যাহারের তারিখের পর মাত্র ১৫-১৭ দিন সময় রাখে নির্বাচন কমিশন।

দলীয় প্রার্থীরা সাদাকালো পোস্টারে নিজের ও প্রতীকের ছবি এবং দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজ ছবি ও প্রতীকের বাইরে অন্য কোনো ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে পারবেন না। পোস্টার, লিফলেট বা প্রচার সামগ্রী কোনো যানবাহন, দেয়াল ও স্থাপনায় লাগানো যাবে না। তবে নির্বাচনী এলাকায় ঝুলিয়ে রাখা যাবে।

প্রচার কাজে মাইকের ব্যবহার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করা যাবে। পথসভা ও ঘরোয়া সভার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে সভার স্থান ও সময় জানাতে হবে। প্রচারে কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা ও প্রত্যাহারের সময় দলের পক্ষ থেকে বা কোনো ব্যক্তি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।

মিছিল-শোডাউন নিষিদ্ধ; মনোনয়নপত্র জমায় ৫ জনের বেশি লোক নেয়া যাবে না; তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন বরাদ্দ, দেয়াল লিখন, তোরণ নির্মাণ, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সার্কিট হাউজ-বাংলো ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সবার প্রতীক বরাদ্দ হলেই ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৬

সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পরই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রচারণা চালানো যাবে। প্রথমবারের মত ইউপি নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়ায় চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা তাদের প্রতীক জানতে পারলেও প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

আর বিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিল এবং দলের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ বেশকিছু সংশোধনীসহ আচরণবিধি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এই আচরণবিধি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন ও আচরণ বিধিমালা মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে গেজেট প্রকাশ করবে কমিশন। এরপরই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জাগো নিউজকে বলেন, ইউপি আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলভিত্তিক পৌর ভোট করায় ওই আচরণবিধির আদলেই প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের প্রচারে বিধিনিষেধ রয়েছে আগের মতোই।

প্রথম ধাপে ৭৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন মার্চ মাসে এ নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে। এ সব ইউপির তালিকাও করেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ জানান, আগামী মার্চ মাসে ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন করা হবে। প্রথম ধাপে কয়টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করা হবে তার একটা তালিকা করা হয়েছে। এগুলো এখন কমিশন সভায় উঠবে।

বর্তমানে দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে।

কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রচারের জন্য এখন আর কেউ তিন সপ্তাহের সুযোগ নিতে পারবে না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরই সবাই একসঙ্গে প্রচারে নামতে পারবেন।

বিদ্যমান আচরণবিধিতে রয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ২১ দিন পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।

এটি সংশোধন করে এবার প্রস্তাব করা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল কিংবা দল মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।

ভোটের অন্তত তিন সপ্তাহ আগে (২১ দিন) প্রচারের বিধান না থাকলেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠনিক প্রচার শুরুর প্রথা রয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটের তফসিলে প্রত্যাহারের তারিখের পর মাত্র ১৫-১৭ দিন সময় রাখে নির্বাচন কমিশন।

দলীয় প্রার্থীরা সাদাকালো পোস্টারে নিজের ও প্রতীকের ছবি এবং দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজ ছবি ও প্রতীকের বাইরে অন্য কোনো ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে পারবেন না। পোস্টার, লিফলেট বা প্রচার সামগ্রী কোনো যানবাহন, দেয়াল ও স্থাপনায় লাগানো যাবে না। তবে নির্বাচনী এলাকায় ঝুলিয়ে রাখা যাবে।

প্রচার কাজে মাইকের ব্যবহার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করা যাবে। পথসভা ও ঘরোয়া সভার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে সভার স্থান ও সময় জানাতে হবে। প্রচারে কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা ও প্রত্যাহারের সময় দলের পক্ষ থেকে বা কোনো ব্যক্তি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।

মিছিল-শোডাউন নিষিদ্ধ; মনোনয়নপত্র জমায় ৫ জনের বেশি লোক নেয়া যাবে না; তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন বরাদ্দ, দেয়াল লিখন, তোরণ নির্মাণ, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের সার্কিট হাউজ-বাংলো ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।