ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পলিথিন-প্লাস্টিক বন্ধ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছি : মির্জা আজম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩৯১ বার

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, পলিথিনের পক্ষের শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের মতোই ক্ষমতাশালী। তাদের প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমাকে সরকারে থেকেও আন্দোলন করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি লুকিয়ে আছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বিনিয়োগ বোর্ড সবাই ঘুমন্ত অবস্থায়। যেন তারা কিছুই দেখছে না। পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বন্ধে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই তাদের।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ বিপর্যয় এবং পাটজাত ও পরিবেশবান্ধব পণ্য বিস্তারের চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ বান্ধব শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক অর্গানাইজেশন (বিইএসএমও)।

মির্জা আজম বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা পলিথিন কারখানাগুলোর কোনো আইনি বৈধতা নেই। শুধুমাত্র শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে পলিথিন উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগ বোর্ড, এনবিআর, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এসব নজরদারি করছে না।

তিনি বলেন, পলিথিন প্যাকেটের ব্যবহার বন্ধে ও পাটজাত পণ্যের প্যাকেজিং নিশ্চিত করতে গিয়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছি।

মির্জা আজম বলেন, আপনারা বাইরে থেকে পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। আর আমাকে সরকারে থেকেও আন্দোলন করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদেশি সাহায্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম-সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, বিইএসএমওর সভাপতি আব্দুর রহমান বাবলা, কেরানীগঞ্জের প্যাকেট ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পবার নির্বাহী সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পলিথিন-প্লাস্টিক বন্ধ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছি : মির্জা আজম

আপডেট টাইম : ০৮:১৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৬

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, পলিথিনের পক্ষের শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের মতোই ক্ষমতাশালী। তাদের প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমাকে সরকারে থেকেও আন্দোলন করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি ব্যবস্থার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি লুকিয়ে আছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বিনিয়োগ বোর্ড সবাই ঘুমন্ত অবস্থায়। যেন তারা কিছুই দেখছে না। পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বন্ধে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই তাদের।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ বিপর্যয় এবং পাটজাত ও পরিবেশবান্ধব পণ্য বিস্তারের চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ বান্ধব শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক অর্গানাইজেশন (বিইএসএমও)।

মির্জা আজম বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা পলিথিন কারখানাগুলোর কোনো আইনি বৈধতা নেই। শুধুমাত্র শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে পলিথিন উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগ বোর্ড, এনবিআর, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এসব নজরদারি করছে না।

তিনি বলেন, পলিথিন প্যাকেটের ব্যবহার বন্ধে ও পাটজাত পণ্যের প্যাকেজিং নিশ্চিত করতে গিয়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছি।

মির্জা আজম বলেন, আপনারা বাইরে থেকে পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। আর আমাকে সরকারে থেকেও আন্দোলন করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদেশি সাহায্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাটশিল্পকে ধ্বংস করতে আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান।

বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম-সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, বিইএসএমওর সভাপতি আব্দুর রহমান বাবলা, কেরানীগঞ্জের প্যাকেট ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পবার নির্বাহী সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান।