ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় থাকছে দুই শতাধিক ক্যামেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩০৭ বার

এবারের বইমেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দুই শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই ক্যামেরার ফুটেজ নজরদারিতে রাখতে আলাদা জনবলও কাজ করবে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। সংবাদ সম্মেলনে গ্রন্থমেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

শামসুজ্জামান খান বলেন, গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থারসমূহের নিরাপত্তাকর্মীরা। শুধু র্যা বেই থাকবে দুটি ক্যাম্প। কন্ট্রোল রুম থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। দুটি স্টল-ওয়ারি একটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপক কর্মী থাকবেন। মেলা প্রাঙ্গণ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে।

মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলিনাশক পানি ছিটানো, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থান এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বচ্ছন্দে চলাফেরার সুবিধার্থে স্টলের সামনের চলাচল-পথে উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভ ও এর পার্শ্ববর্তী স্থানকে নান্দনিকভাবে গ্রন্থমেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাতে স্বাধীনতার স্তম্ভের আলোক-বিচ্ছুরণে মেলা প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে।

গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশ পথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের আটটি পথ থাকবে। এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সুবিধার্থে একটি নতুন সুপ্রশস্ত গেট নির্মাণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০১৬-র সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ, জনসংযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী, গ্রন্থমেলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার, ইভেন্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইভেন্ট টাচ ইন্টারন্যাশনালের সিইও মেজর (অব.) মাইনুল হাসান।

উল্লেখ্য, গ্রন্থমেলা ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বইমেলায় থাকছে দুই শতাধিক ক্যামেরা

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৬

এবারের বইমেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দুই শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই ক্যামেরার ফুটেজ নজরদারিতে রাখতে আলাদা জনবলও কাজ করবে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। সংবাদ সম্মেলনে গ্রন্থমেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

শামসুজ্জামান খান বলেন, গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থারসমূহের নিরাপত্তাকর্মীরা। শুধু র্যা বেই থাকবে দুটি ক্যাম্প। কন্ট্রোল রুম থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে। দুটি স্টল-ওয়ারি একটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপক কর্মী থাকবেন। মেলা প্রাঙ্গণ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে।

মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলিনাশক পানি ছিটানো, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থান এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বচ্ছন্দে চলাফেরার সুবিধার্থে স্টলের সামনের চলাচল-পথে উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভ ও এর পার্শ্ববর্তী স্থানকে নান্দনিকভাবে গ্রন্থমেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে যাতে স্বাধীনতার স্তম্ভের আলোক-বিচ্ছুরণে মেলা প্রাঙ্গণ আলোকিত হয়ে ওঠে।

গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দুটো মূল প্রবেশ পথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের আটটি পথ থাকবে। এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের সুবিধার্থে একটি নতুন সুপ্রশস্ত গেট নির্মাণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০১৬-র সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ, জনসংযোগ তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী, গ্রন্থমেলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার, ইভেন্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইভেন্ট টাচ ইন্টারন্যাশনালের সিইও মেজর (অব.) মাইনুল হাসান।

উল্লেখ্য, গ্রন্থমেলা ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।