ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিনের শরীরচর্চা কতটা ফলপ্রসূ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরীরচর্চা কি আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে? নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রবদ্ধ থেকে দেখা গিয়েছে দৈনন্দিন কাজ সঠিকভাবে করা যায় তাহলে প্রতিদিনের বাড়তি ক্যালরি ঝরে যায়। দেহের হরমোনগুলি নিজেদের কাজ করতে পারে। তবে সমীক্ষা থেকে এটাও দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত ক্যালরি যদি দেহ থেকে ক্ষয় হয়, তবে তা হবে বিশেষ ক্ষতির নিদর্শন। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, দেহে যে পরিমান ক্ষয় হয় তা পূরণ করে দেয় আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য। দেহে খাদ্যের এই ভারসাম্যের ফলেই শরীর তার দৈনন্দিন কাজ করে। তবে সকল সময়েই যে এই পরিস্থিতি চলবে তা কিন্তু নয়। দেহে ক্ষয় এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায় দেহে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

অনেক সময় দেখা গিয়েছে দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে অনেকেই নানা ধরনের শরীরচর্চা করে থাকেন।

দেহের পক্ষে এটা মারাত্বক হতে পারে। দেখা গেছে সারাদিনে যে পরিমান ক্যালরি খরচ হয় তা থেকে বেশি হয়ে গেলে দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২০১৮ সালে একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলা যারা অতিরিক্ত মেদধারী ছিলেন তারা প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ৩০০০ ক্যালরি ঝরানোর শরীরচর্চা করতেন। এরপর সমীক্ষার শেষ পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল তাদের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ রয়েছন, এবং তাদের শরীরে মেদও অনেকটা কমেছে। তবে অন্য কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের মতে, এই কয়েকজনের শরীরে মেদ ঝরার পরিমান বেশি হয়েছিল। ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আসলে একজন মানুষ রোজ যতটা ক্যালরি খরচ করতে পারেন তার থেকে যদি বেশি খরচ করেন তাহলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এক্ষেত্রে দৈনন্দিন একঘন্টা করে শরীরচর্চা ব্যক্তিকে সুস্থ রাখতে পারে। আবার অনেক মানুষ এমনও রয়েছেন যারা সারাদিনে কোনো শরীরচর্চা করেন না, অথচ তাদের দেহে ক্ষয় এবং পুষ্টির পরিমান স্বাভাবিক থাকে। তবে এটাও ফেলে দেওয়া যায় না যে, সপ্তাহে যদি ৩০০ মিনিট অন্তত শরীরচর্চা করা যায় তাহলে দেহ তার স্বাভাবিকতা বজায় রেখে চলতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে হলে বহু মানুষ রোজ সকালে উঠে যোগসাধনা করেন বা সামান্য শরীরচর্চাও করেন। তাদের দেহ সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক থাকাটাই বাহুল্যে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রতিদিনের শরীরচর্চা কতটা ফলপ্রসূ

আপডেট টাইম : ০৩:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শরীরচর্চা কি আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে? নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রবদ্ধ থেকে দেখা গিয়েছে দৈনন্দিন কাজ সঠিকভাবে করা যায় তাহলে প্রতিদিনের বাড়তি ক্যালরি ঝরে যায়। দেহের হরমোনগুলি নিজেদের কাজ করতে পারে। তবে সমীক্ষা থেকে এটাও দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত ক্যালরি যদি দেহ থেকে ক্ষয় হয়, তবে তা হবে বিশেষ ক্ষতির নিদর্শন। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, দেহে যে পরিমান ক্ষয় হয় তা পূরণ করে দেয় আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য। দেহে খাদ্যের এই ভারসাম্যের ফলেই শরীর তার দৈনন্দিন কাজ করে। তবে সকল সময়েই যে এই পরিস্থিতি চলবে তা কিন্তু নয়। দেহে ক্ষয় এবং পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায় দেহে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

অনেক সময় দেখা গিয়েছে দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে অনেকেই নানা ধরনের শরীরচর্চা করে থাকেন।

দেহের পক্ষে এটা মারাত্বক হতে পারে। দেখা গেছে সারাদিনে যে পরিমান ক্যালরি খরচ হয় তা থেকে বেশি হয়ে গেলে দেহ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২০১৮ সালে একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলা যারা অতিরিক্ত মেদধারী ছিলেন তারা প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ৩০০০ ক্যালরি ঝরানোর শরীরচর্চা করতেন। এরপর সমীক্ষার শেষ পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল তাদের মধ্যে কয়েকজন সুস্থ রয়েছন, এবং তাদের শরীরে মেদও অনেকটা কমেছে। তবে অন্য কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের মতে, এই কয়েকজনের শরীরে মেদ ঝরার পরিমান বেশি হয়েছিল। ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আসলে একজন মানুষ রোজ যতটা ক্যালরি খরচ করতে পারেন তার থেকে যদি বেশি খরচ করেন তাহলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এক্ষেত্রে দৈনন্দিন একঘন্টা করে শরীরচর্চা ব্যক্তিকে সুস্থ রাখতে পারে। আবার অনেক মানুষ এমনও রয়েছেন যারা সারাদিনে কোনো শরীরচর্চা করেন না, অথচ তাদের দেহে ক্ষয় এবং পুষ্টির পরিমান স্বাভাবিক থাকে। তবে এটাও ফেলে দেওয়া যায় না যে, সপ্তাহে যদি ৩০০ মিনিট অন্তত শরীরচর্চা করা যায় তাহলে দেহ তার স্বাভাবিকতা বজায় রেখে চলতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে হলে বহু মানুষ রোজ সকালে উঠে যোগসাধনা করেন বা সামান্য শরীরচর্চাও করেন। তাদের দেহ সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক থাকাটাই বাহুল্যে।