ঢাকা ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের জয় নিশ্চিতে ইলেকটোরাল ভোট, হাল না ছাড়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১২৪ বার

(COMBO) This combination of pictures created on October 30, 2020 shows Democratic Presidential candidate and former US Vice President Joe Biden gestures prior to delivering remarks at a Drive-in event in Coconut Creek, Florida, on October 29, 2020 and US President Donald Trump pumps his fist as he arrives to a campaign rally at Green Bay Austin Straubel International Airport in Green Bay, Wisconsin on October 30, 2020. - President Donald Trump and Democratic challenger Joe Biden are battling it out for the White House, with polls closed across the United States Tuesday -- and a long night of waiting for results in key battlegrounds on the cards. (Photos by JIM WATSON and MANDEL NGAN / AFP)

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল সোমবার অঙ্গরাজ্যগুলোয় ইলেকটোরাল ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নিছক আনুষ্ঠানিকতার এই ভোটে জনরায়ের ব্যতিক্রম হওয়ার নজির নেই। তাই জো বাইডেনকে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরেক দফা স্বীকৃতি শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ। সর্বশেষ ইলেকটোরাল ভোটের আগের দিন রবিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, খেলা শেষ হয়নি, জয়ের জন্য তাঁর লড়াই অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, গতকাল অঙ্গরাজ্যের আইনসভা ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে নির্বাচন করার কথা। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অঙ্গরাজ্যের ফল অনুযায়ী, ইলেকটোরাল প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। এই ভোট অঙ্গরাজ্য আইনসভা প্রত্যয়ন বা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে ওয়াশিংটনে পাঠাবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অংশ হিসেবে ইলেটকোরাল কলেজের দিকে সাধারণত মানুষের দৃষ্টি থাকে না। তবে এবার এর ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।

প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী আইন ভিন্ন। ইলেকটোরাল প্রতিনিধিরা সব অঙ্গরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মতামত অনুযায়ী তাঁদের ভোট দিতে বাধ্য নন। তাই জনমতের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কিছু নজিরও কিছু আছে। এমন ইলেকটোরাল ভোটারদের ‘অবিশ্বস্ত ইলেকটর’ বলা হয়। তবে ফল পাল্টে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা এ পর্যন্ত ঘটেনি। ট্রাম্পের কারণে এবার তেমন ব্যতিক্রম কিছু ঘটে কি না, সেদিকে সাধারণ মানুষসহ অনেকেই নজর রাখছেন।

ইলেকটররা সাধারণত রাজনৈতিক কর্মী বা অ্যাক্টিভিস্ট, সুধীসমাজের প্রতিনিধি বা প্রার্থীদের বন্ধু হয়ে থাকেন। কখনো কখনো জাতীয়ভাবে পরিচিত মুখও ইলেকটর হয়ে থাকেন। যেমন এবার দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নিউ ইয়র্কের ইকেকটোরাল কলেজ ভোটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

ইলেকটোরাল ভোট শেষে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয় দাপ্তরিকভাবে আরেক দফা নিশ্চিত হবে। এদিন সন্ধ্যায়ই তাঁর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। নজিরবিহীন কিছু না ঘটলে ইলেকটোরাল ভোটের ৩০৬টি তাঁর পাওয়া নিশ্চিত। যেখানে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট। আর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রজেকশন অনুসারে ট্রাম্প পাবেন ২৩২ ইলেকটরের ভোট।

অবশ্য আগামী ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের একটি আনুষ্ঠানিকতা সামনে রয়েছে। ইলেকটোরাল ভোট সব অঙ্গরাজ্য (৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া) থেকে পাওয়ার পর ওই দিন তা আবার গণনা করে ফল ঘোষণা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাইডেনের জয় নিশ্চিতে ইলেকটোরাল ভোট, হাল না ছাড়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট টাইম : ১০:১৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল সোমবার অঙ্গরাজ্যগুলোয় ইলেকটোরাল ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নিছক আনুষ্ঠানিকতার এই ভোটে জনরায়ের ব্যতিক্রম হওয়ার নজির নেই। তাই জো বাইডেনকে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরেক দফা স্বীকৃতি শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ। সর্বশেষ ইলেকটোরাল ভোটের আগের দিন রবিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, খেলা শেষ হয়নি, জয়ের জন্য তাঁর লড়াই অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা অনুযায়ী, গতকাল অঙ্গরাজ্যের আইনসভা ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে নির্বাচন করার কথা। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অঙ্গরাজ্যের ফল অনুযায়ী, ইলেকটোরাল প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। এই ভোট অঙ্গরাজ্য আইনসভা প্রত্যয়ন বা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে ওয়াশিংটনে পাঠাবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অংশ হিসেবে ইলেটকোরাল কলেজের দিকে সাধারণত মানুষের দৃষ্টি থাকে না। তবে এবার এর ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।

প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী আইন ভিন্ন। ইলেকটোরাল প্রতিনিধিরা সব অঙ্গরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের মতামত অনুযায়ী তাঁদের ভোট দিতে বাধ্য নন। তাই জনমতের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কিছু নজিরও কিছু আছে। এমন ইলেকটোরাল ভোটারদের ‘অবিশ্বস্ত ইলেকটর’ বলা হয়। তবে ফল পাল্টে দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা এ পর্যন্ত ঘটেনি। ট্রাম্পের কারণে এবার তেমন ব্যতিক্রম কিছু ঘটে কি না, সেদিকে সাধারণ মানুষসহ অনেকেই নজর রাখছেন।

ইলেকটররা সাধারণত রাজনৈতিক কর্মী বা অ্যাক্টিভিস্ট, সুধীসমাজের প্রতিনিধি বা প্রার্থীদের বন্ধু হয়ে থাকেন। কখনো কখনো জাতীয়ভাবে পরিচিত মুখও ইলেকটর হয়ে থাকেন। যেমন এবার দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নিউ ইয়র্কের ইকেকটোরাল কলেজ ভোটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

ইলেকটোরাল ভোট শেষে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয় দাপ্তরিকভাবে আরেক দফা নিশ্চিত হবে। এদিন সন্ধ্যায়ই তাঁর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। নজিরবিহীন কিছু না ঘটলে ইলেকটোরাল ভোটের ৩০৬টি তাঁর পাওয়া নিশ্চিত। যেখানে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট। আর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রজেকশন অনুসারে ট্রাম্প পাবেন ২৩২ ইলেকটরের ভোট।

অবশ্য আগামী ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের একটি আনুষ্ঠানিকতা সামনে রয়েছে। ইলেকটোরাল ভোট সব অঙ্গরাজ্য (৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া) থেকে পাওয়ার পর ওই দিন তা আবার গণনা করে ফল ঘোষণা করা হবে।