বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন, ছোট মন দিয়ে বড় জাতি বানানো যায় না। তাই শিক্ষার্থীদের বড় মনের মানুষ হতে হবে। যোগ্য নাগরিক হয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হতে হবে। এর জন্য বেশী করে বই পড়তে হবে।
বুধবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটরিয়ামে বিকাশের সৌজন্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে ৩৫ হাজার বই প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ‘চারদিকে শুধু দেয়াল থাকা গুদাম ঘরে মানুষ বসবাস করতে পারে না। মানুষকে বাঁচতে হলে ঘরের দেয়ালে দরজা জানালা থাকতে হয়। তেমনি জীবনে বড় হতে হলে কিছু ফাঁকা জায়গা রাখতে হয়। তা পূরণ করতে হয় জ্ঞান দিয়ে। বই পড়ে। সমাজের জন্য রাষ্ট্রের জন্য আলো ও আলোকিত মানুষ দুটোই প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলো না থাকলে আলোকিত সমাজ, দেশ হবে না।’
এসময় তিনি বিয়াম ফাউন্ডেশন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পাথর বিভিন্ন রকমের হয়। রেললাইনেও পাথর থাকে মানুষের গলায়ও পাথর থাকে। আলোকিত মানুষ হলে তোমরা হবে হীরা আর আলোকিত মানুষ হতে না পারলে রেললাইনে পরে থাকা পাথর হতে হবে।’
ঢাকার বাতাস আজ দূষিত হয়ে আছে। মানুষের ফুসফুসে ক্যান্সার হচ্ছে। তাই ঢাকার মানুষের প্রাণ ভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য রমনা পার্কের মত ৩০টি পার্ক থাকা প্রয়োজন।
বইপড়া কর্মসূচির উদ্বোধন করে বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর কাটলে বড় হয় আর জ্ঞান বিতরণ করলে বাড়ে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ দীর্ঘ দিন ধরে এই জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছেন। আলোকিত মানুষ তৈরি করছেন। অসংখ্য মানুষের মধ্যে পাঠভ্যাস গড়ে তুলেছেন।’
বিয়াম ফাউন্ডেশনের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পড়া কর্মসূচি চালু করার ঘোষণা দেন তিনি। এসময় আরও বক্তৃতা করেন বিয়াম স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণময় সরকার,বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মো. মাসুদ।
‘দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম’ এর মাধ্যমে দেশের ৪০০ স্কুল কলেজের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালিত করবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী বছরে ১২ থেকে ১৬ টি শিরোনামের বই পড়ার সুযোগ পাবেন।