ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশ করার দাবি জানালেন গয়েশ্বর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৫৫২ বার

গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ৩০ লাখ হোক বা ৬০ লাখ হোক তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। কিন্তু তাদের তালিকা থাকবে না কেন? কি কারণে থাকবে না? শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুর বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।

সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা; সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর মিথ্যা কথা বলে দেশপ্রেম। এ নীতিতে বিশ্বাস করি না।

তিনি বলেণ, সত্য যত নির্মম হোক সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বলল সেটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। এরপর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা পারেন করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা অনেক চুপ থেকেছি। কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। নেত্রী যখন একটা কথা বললেন, তখন আমরা সবাই মুখে তালা মারলাম। কেউ কোনো কথা বললাম না। ভালো হোক মন্দ হোক শিয়ালের মতো সব এক সুরে বলে।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ওই জায়গায় আমাদের নেত্রী যখন কথা বলেন, তার কথা সমর্থন করলে মামলা হবে- এ ভয়ে যখন আমরা সমর্থন করি না সেখানে আমাদের বিবেচনা করতে হবে- বিএনপির রাজনীতি করার যোগ্যতা আছে কিনা আমাদের।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কৌশল অবলম্বন না করে বুক টান করে রাজপথে হাঁটুন। নেত্রীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। আমরা যত চুপ করে থাকি না কেন মামলা আমাদের ছাড়বে না। সহকর্মীদের গুমের মিছিল অনেক বড় হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নিখোঁজ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। রক্ত ও জীবন দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম প্রকাশ করার দাবি জানালেন গয়েশ্বর

আপডেট টাইম : ১০:৫১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৬

গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ৩০ লাখ হোক বা ৬০ লাখ হোক তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। কিন্তু তাদের তালিকা থাকবে না কেন? কি কারণে থাকবে না? শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য বজলুর বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।

সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া হবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। কথায় কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা; সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর মিথ্যা কথা বলে দেশপ্রেম। এ নীতিতে বিশ্বাস করি না।

তিনি বলেণ, সত্য যত নির্মম হোক সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বলল সেটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। এরপর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা পারেন করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা অনেক চুপ থেকেছি। কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। নেত্রী যখন একটা কথা বললেন, তখন আমরা সবাই মুখে তালা মারলাম। কেউ কোনো কথা বললাম না। ভালো হোক মন্দ হোক শিয়ালের মতো সব এক সুরে বলে।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ওই জায়গায় আমাদের নেত্রী যখন কথা বলেন, তার কথা সমর্থন করলে মামলা হবে- এ ভয়ে যখন আমরা সমর্থন করি না সেখানে আমাদের বিবেচনা করতে হবে- বিএনপির রাজনীতি করার যোগ্যতা আছে কিনা আমাদের।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কৌশল অবলম্বন না করে বুক টান করে রাজপথে হাঁটুন। নেত্রীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। আমরা যত চুপ করে থাকি না কেন মামলা আমাদের ছাড়বে না। সহকর্মীদের গুমের মিছিল অনেক বড় হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। নিখোঁজ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। রক্ত ও জীবন দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক।