ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ফার্মে হচ্ছে খেজুর গুড়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের মোহনপুর ফার্মের প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে খেজুর বাগান। হাজারখানেক গাছের এই বাগানে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। তাদের সংগ্রহ করা রসে তৈরি হচ্ছে গুড়। আর এ কর্মযজ্ঞ দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন মানুষ, আসছেন ক্রেতারাও।

এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ে খেজুর গুড় আসতো রাজশাহী থেকে। এখন সেই যোগান আসছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের মোহনপুর ফার্ম থেকে।

রাজশাহী থেকে এসেছেন গাছি আর গুড় নির্মাতারা। তারা বলছেন, যে পরিমাণ গুড় প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে তা জেলার চাহিদার তুলনায় বেশি। দাম ও মওসুমের উৎপাদন বিবেচনায় ভালো লাভের আশা করছেন উৎপাদকরা।

গাছিরা জানান, আমরা রাজশাহী জেলা থেকে ৭ জন এসেছি। আমরা এখানে কর্ম করি, গুড় উৎপাদনে সহায়তা করছি। রসের ভেতর ফিটকারী ও চুন ছাড়া কিছু দেওয়া হয় না।

বাইরের জেলার ক্রেতারা জানান, রস ও টাটকা গুড় খাওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আরেকজন জানান, আমরা যে খেজুরের রস খাচ্ছি, তা কতটুকু হাইজেনিক, এখানের পরিবেশন ও কিভাবে রস সংগ্রহ করছে- এই জিনিসটা মূলত জানার জন্য এখানে এসেছি।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, আমি এখান থেকে গুড় পাইকারি নিতে এসেছি। নিয়ে বড় বড় হাটে বিক্রি করবো।

খেঁজুড়ের গুড় উৎপাদন জেলার অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে জানালেন এই জনপ্রতিনিধিরা।

ঠাকুরগাঁও সদরের নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলী বলেন, নির্ভেজাল গুড় উৎপাদন হয় এখানে। মানুষ দূর-দুরান্ত থেকে এসে গুড় কিনে নিয়ে যায়। আমরা আগে কুষারের গুড় খেতাম, এখনও আছে আমাদের এই অঞ্চলে। কিন্তু প্রকৃত খেজুরের গুড়ের একটা চাহিদা ছিল জনমানুষের মাঝে, সেটা এই বাগানের মাধ্যমে পাবে।

মোহনপুর ফার্মের এই অভিজ্ঞতাকে সারা জেলায় ছড়িয়ে দেয়ার আহবান বিশিষ্টজনদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ফার্মে হচ্ছে খেজুর গুড়

আপডেট টাইম : ০৩:১০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের মোহনপুর ফার্মের প্রায় ১০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে খেজুর বাগান। হাজারখানেক গাছের এই বাগানে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। তাদের সংগ্রহ করা রসে তৈরি হচ্ছে গুড়। আর এ কর্মযজ্ঞ দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন মানুষ, আসছেন ক্রেতারাও।

এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ে খেজুর গুড় আসতো রাজশাহী থেকে। এখন সেই যোগান আসছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের মোহনপুর ফার্ম থেকে।

রাজশাহী থেকে এসেছেন গাছি আর গুড় নির্মাতারা। তারা বলছেন, যে পরিমাণ গুড় প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে তা জেলার চাহিদার তুলনায় বেশি। দাম ও মওসুমের উৎপাদন বিবেচনায় ভালো লাভের আশা করছেন উৎপাদকরা।

গাছিরা জানান, আমরা রাজশাহী জেলা থেকে ৭ জন এসেছি। আমরা এখানে কর্ম করি, গুড় উৎপাদনে সহায়তা করছি। রসের ভেতর ফিটকারী ও চুন ছাড়া কিছু দেওয়া হয় না।

বাইরের জেলার ক্রেতারা জানান, রস ও টাটকা গুড় খাওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আরেকজন জানান, আমরা যে খেজুরের রস খাচ্ছি, তা কতটুকু হাইজেনিক, এখানের পরিবেশন ও কিভাবে রস সংগ্রহ করছে- এই জিনিসটা মূলত জানার জন্য এখানে এসেছি।

পাইকারি ক্রেতারা জানান, আমি এখান থেকে গুড় পাইকারি নিতে এসেছি। নিয়ে বড় বড় হাটে বিক্রি করবো।

খেঁজুড়ের গুড় উৎপাদন জেলার অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে জানালেন এই জনপ্রতিনিধিরা।

ঠাকুরগাঁও সদরের নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলী বলেন, নির্ভেজাল গুড় উৎপাদন হয় এখানে। মানুষ দূর-দুরান্ত থেকে এসে গুড় কিনে নিয়ে যায়। আমরা আগে কুষারের গুড় খেতাম, এখনও আছে আমাদের এই অঞ্চলে। কিন্তু প্রকৃত খেজুরের গুড়ের একটা চাহিদা ছিল জনমানুষের মাঝে, সেটা এই বাগানের মাধ্যমে পাবে।

মোহনপুর ফার্মের এই অভিজ্ঞতাকে সারা জেলায় ছড়িয়ে দেয়ার আহবান বিশিষ্টজনদের।