ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসবগুলের ভুসির ৫ উপকারিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
  • ১৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ পেটের নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন; তারা বেশিরভাগ সময়ই লজ্জায় এ মারাত্মক সমস্যার কথা শেয়ার করতে চান না। কিন্তু তিনি নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। এসব সমস্যার সমাধান করবে ইসবগুলের ভুসি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন-

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইসবগুলের ভুসির গুণাগুণসমূহ সম্পর্কে-

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে: ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল নরম করে দেয়। ফলে খুব সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ও ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করতে পারেন। কেউ যদি রোগটি পুষে রাখেন, তাহলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রক্তে কোলেস্টেরল কমায়: এ ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ: অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য দারুণ টনিক হলো ইসবগুলের ভুসি ও দই। এ দুটি একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।

ওজন কমায়: এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ ভুসি খুবই উপযুক্ত।

অ্যাসিডিটি কমায়: ভুসিতে উপস্থিত ফাইবার পাকস্থলীতে একটি স্তর তৈরি করে। যা আমাদের অ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এ ভুসি।

কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খান, সুস্থ-সবল জীবনযাপন করুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইসবগুলের ভুসির ৫ উপকারিতা

আপডেট টাইম : ১১:০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেকেই দীর্ঘদিন যাবৎ পেটের নানা ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন; তারা বেশিরভাগ সময়ই লজ্জায় এ মারাত্মক সমস্যার কথা শেয়ার করতে চান না। কিন্তু তিনি নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। এসব সমস্যার সমাধান করবে ইসবগুলের ভুসি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন-

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইসবগুলের ভুসির গুণাগুণসমূহ সম্পর্কে-

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে: ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মল নরম করে দেয়। ফলে খুব সহজেই ইলিমিনেশন সম্ভব হয়। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি ও ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করতে পারেন। কেউ যদি রোগটি পুষে রাখেন, তাহলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

রক্তে কোলেস্টেরল কমায়: এ ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দান করে। ফলে আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই হৃদরোগীদের জন্য দারুণ একটি খাবার এটি।

ডায়রিয়া প্রতিরোধ: অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য দারুণ টনিক হলো ইসবগুলের ভুসি ও দই। এ দুটি একসাথে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।

ওজন কমায়: এতে ফাইবার উপস্থিত থাকায় হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। তাই ক্ষুধা লাগে অনেক কম। এটি খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: ইসবগুলের ভুসিতে রয়েছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এ ভুসি খুবই উপযুক্ত।

অ্যাসিডিটি কমায়: ভুসিতে উপস্থিত ফাইবার পাকস্থলীতে একটি স্তর তৈরি করে। যা আমাদের অ্যাসিডিটির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এ ভুসি।

কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খান, সুস্থ-সবল জীবনযাপন করুন।