ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি এখনও এরশাদকে খুব ভালোবাসি: বিদিশা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৬
  • ২২৪ বার

বর্তমান সময়ে রাজনীতির মাঠকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। ছোট ভাই জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান করায়, উনার বর্তমান স্ত্রী রওশন এরশাদ নিজেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবি করেছেন। অন্যদিকে পার্টিতে রওশন পন্থীরা আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার বিষয়েও শোনা যাচ্ছে। দেশের রাজনীতির বর্তমান সময়ের আলোচিত মুখ হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সম্পর্কে জানতে ‘আমাদের সময়ের’ প্রতিবেদক নাশারাত আর্শিয়ানা চৌধুরি কথা বলেছেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার সঙ্গে। তার সাক্ষাতকারটি নিচে তুলে ধরা হলো।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা বিয়ে বিচ্ছেদের কারণে এরশাদের কাছ থেকে আলাদা থাকলেও এখনও সন্তানের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এরশাদ এখনও বিদিশার খোঁজখবর নেন নিয়মিত। বিদিশাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া ও পুলিশ দিয়ে আটক করানো এটা যে তার ভুল হয়েছে সেটাও বলেন। বিদিশাকে এটাও বলেন, বিদিশা যাতে এই বিষয়টি ভুলে যান। এই কথাগুলো জানিয়েছেন বিদিশা। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তিনি এ ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরশাদ সম্পর্কে অনেকেই আমাকে খারাপ কথা বলতে বলে। তার মাথা ঠিক নেই, সকালে এক কথা আবার বিকালে আরেক কথা বলেন। তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, এগুলো বলে। কিন্তু আমি তাদের কথায় প্ররোচিত হই না। কারণ তার সঙ্গে আমার বৈবাহিক সম্পর্ক নেই সেটা সত্য। কিন্তু এটাতো চিরন্তর সত্য, তিনি আমার সন্তানের বাবা। আর এই সন্তানের বাবা হওয়ার কারণে আমি এরিখের মুখের দিকে তাকিয়ে তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছি। তিনি আমাকে যে পরিস্থিতিতে বাসা থেকে পুলিশ দিয়ে বের করে দিলেন সেটা কি তিনি ঠিক করেছিলেন? করেননি। আমার তো বড় কোনো অপরাধ ছিল না।

এখনও এরশাদ আমাকে বলে, তুমি তো আমাকে বেশি উত্তেজিত করতে এই জন্য এমনটা হয়েছিল। বিদিশা জানান, এরশাদ ছেলেকে বিদিশার কাছে পাঠানো এবং আনার কারণে দুই জনের মধ্যে প্রায়ই কথা হয়। এরমধ্যে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কথা ছাড়াও রাজনৈতিক কথাও বলেন। দেশের কথা বলেন। দলের কথাও বলেন। বিদিশাও তাকে মাঝে মাঝে বুদ্ধি দেন। এরশাদ ঘনিষ্ঠ নেতারা এই বিষয়টি জানেন এই কারণে তারা এরশাদকে ম্যানেজ করতে না পারলে বিদিশার দ্বারস্থ হন। বিদিশাকে যার জন্য যতটুকু পারেন সহায়তা করেন।

বিদিশা বলেন, আমি তো এরশাদের পার্টিতে নেই। আমি চাইলে হয়তো এরশাদ সাহেব আমাকে কোনো পদও দিবেন। কিন্তু আমি কোনোদিন তার কাছে থেকে চেয়ে কিছু নেব না। কারণ আমি দূরে থাকলেও, আমি চাই সে যেন সব সময় ভালো থাকে। কারণ আমি এরশাদকে এখনও ভালবাসি।

তিনি বলেন, এরশাদের বান্ধবীদের নিয়ে অনেকেই অনেক কথা আমাকে জানানোর চেষ্টা করে। আমাকে বলে। তার বান্ধবীদের ছবিও আমাকে পাঠায়। ঠিকানা পাঠায়। কিন্তু তা হলেও আমি তার ওই সব বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চাই না। বরং তিনি তার মতো আছেন। থাকুক। আমার খারাপ লাগে যখন অনেকেই বলে তার মাথা ঠিক নেই। বয়স হয়েছে। এই কারণে কথা ঠিক রাখতে পারেন না। কিন্তু আমি এই ব্যাপারে ভেতরকার কাহিনীগুলো জানি। কেন তিনি এমন করেন। তবে এরশাদের ও তার সন্তান এরিখের নিরাপত্তার কারণেই বলতে চাই না। কিন্তু একদিন মানুষ সবই জানবে। তাকে যারা ভিন্ন ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করেন। সেটা তার বাইরের কথা শুনে। তারা ভেতরকার কাহিনী না জেনেই বলেন। তিনি যখনই একটু সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। সত্য কথা বলার চেষ্টা করেন আর সরকার থেকে পদত্যাগ করতে চান, তখনই তাকে মামলা দিয়ে কারাগারের ভয় দেখানো হয়। আরও বলা হয়, তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। এটা ঠিক, এরশাদ করাগারে যেতে চান না। এই কারণে অবস্থান পরিষ্কার করলেও শেষ পর্যন্ত কাজটি করতে পারেন না।

তিনি বলেন, এরশাদ জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করেছেন কারণ তার আশঙ্কা তিনি মরে গেলে তার দলের ঐক্য থাকবে না। দলে নানা জটিলতা তৈরি হবে। রওশন এরশাদও দলের ঐক্য ধরে রাখতে পারবেন না। এই কারণে তিনি দলের একজন উত্তরসূরী তৈরি করতে চাইছেন। সেটা তিনি তার ভাইকেই করেছেন। জি এম কাদের মানুষ হিসেবে ভালো। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে তিনি এরশাদ সাহেবের মতো নন। তাকে কো-চেয়ারম্যান করাতে আমি খুশি। রুহুল আমিন হাওলাদারকে ফিরিয়ে আনাতে আমি মনে করি ঠিক করেছেন। হাওলাদার সাহেবও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বাবলু ছিল আমার বন্ধু। সে বন্ধু হয়েও বেঈমানী করেছে। তার কথা এরশাদের মুখেই শুনেছি তিনি নাকি বার বার এরশাদকে ব্ল্যাক মেইলিং করেছেন। এরশাদ নিজেই আমাকে বলেছেন, বাবলু আমাকে জেলে নেওয়ার ভয় দেখায়, সরকার থেকে পদত্যাগ করলে ভালো হবে না এই সব বলেও নানা ভয় দেখিয়েছে। আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাক মেইলিং করেছে।

এরিখের নামে এরশাদ সব সম্পদ ও সম্পত্তি দিয়েছেন এই জন্য কি আপনার প্রতি তার এই ভালোবাসা বিদিশা বলেন, তিনি তার ছেলেকে সব সম্পদ ও সম্পত্তি দিয়েছেন। আমার নামে তো আর দেননি। ছেলের নামে দিয়েছেন যাতে ছেলে ভালো থাকতে পারে। তিনি তা না দিলেও আমার যা সম্পদ ও সম্পত্তি রয়েছে তাতে আমার ছেলে-মেয়েদের দিন ভালোভাবেই চলে যাবে। আমার বড় সন্তানরাও এরিখকে তাদের ভাই মনে করে। আমি ও এরশাদ না থাকলেও তারা ওকে দেখবে। এই কারণে এরশাদের সম্পত্তির বিষয়টি নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। তিনি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন আমি জেনে রেখেছি।

এরশাদ কি আপনাকে তার দলে নিতে পারে বলে মনে করছেন? তিনি বলেন, এটা আমি জানি না। তবে তার ঘনিষ্ঠ নেতারা অনেকেই আমাকে ফোন করেন। দেখা করতে আসেন। আমিও তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাকে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু সেটা তো আমি কোনো দিন বলতে যাব না। যখন এরশাদের কেউ থাকবে না তখন আমাকে তিনি তার পাশে চাইলে কি করব সেটা বলতে পারব না। তবে আমার সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে তার যত করব। তিনি আদৌ চাইবেন কিনা সেটা তো আমি জানি না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি এখনও এরশাদকে খুব ভালোবাসি: বিদিশা

আপডেট টাইম : ০২:১১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৬

বর্তমান সময়ে রাজনীতির মাঠকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ। ছোট ভাই জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান করায়, উনার বর্তমান স্ত্রী রওশন এরশাদ নিজেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দাবি করেছেন। অন্যদিকে পার্টিতে রওশন পন্থীরা আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার বিষয়েও শোনা যাচ্ছে। দেশের রাজনীতির বর্তমান সময়ের আলোচিত মুখ হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সম্পর্কে জানতে ‘আমাদের সময়ের’ প্রতিবেদক নাশারাত আর্শিয়ানা চৌধুরি কথা বলেছেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশার সঙ্গে। তার সাক্ষাতকারটি নিচে তুলে ধরা হলো।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা বিয়ে বিচ্ছেদের কারণে এরশাদের কাছ থেকে আলাদা থাকলেও এখনও সন্তানের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। এরশাদ এখনও বিদিশার খোঁজখবর নেন নিয়মিত। বিদিশাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া ও পুলিশ দিয়ে আটক করানো এটা যে তার ভুল হয়েছে সেটাও বলেন। বিদিশাকে এটাও বলেন, বিদিশা যাতে এই বিষয়টি ভুলে যান। এই কথাগুলো জানিয়েছেন বিদিশা। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে তিনি এ ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরশাদ সম্পর্কে অনেকেই আমাকে খারাপ কথা বলতে বলে। তার মাথা ঠিক নেই, সকালে এক কথা আবার বিকালে আরেক কথা বলেন। তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, এগুলো বলে। কিন্তু আমি তাদের কথায় প্ররোচিত হই না। কারণ তার সঙ্গে আমার বৈবাহিক সম্পর্ক নেই সেটা সত্য। কিন্তু এটাতো চিরন্তর সত্য, তিনি আমার সন্তানের বাবা। আর এই সন্তানের বাবা হওয়ার কারণে আমি এরিখের মুখের দিকে তাকিয়ে তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছি। তিনি আমাকে যে পরিস্থিতিতে বাসা থেকে পুলিশ দিয়ে বের করে দিলেন সেটা কি তিনি ঠিক করেছিলেন? করেননি। আমার তো বড় কোনো অপরাধ ছিল না।

এখনও এরশাদ আমাকে বলে, তুমি তো আমাকে বেশি উত্তেজিত করতে এই জন্য এমনটা হয়েছিল। বিদিশা জানান, এরশাদ ছেলেকে বিদিশার কাছে পাঠানো এবং আনার কারণে দুই জনের মধ্যে প্রায়ই কথা হয়। এরমধ্যে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কথা ছাড়াও রাজনৈতিক কথাও বলেন। দেশের কথা বলেন। দলের কথাও বলেন। বিদিশাও তাকে মাঝে মাঝে বুদ্ধি দেন। এরশাদ ঘনিষ্ঠ নেতারা এই বিষয়টি জানেন এই কারণে তারা এরশাদকে ম্যানেজ করতে না পারলে বিদিশার দ্বারস্থ হন। বিদিশাকে যার জন্য যতটুকু পারেন সহায়তা করেন।

বিদিশা বলেন, আমি তো এরশাদের পার্টিতে নেই। আমি চাইলে হয়তো এরশাদ সাহেব আমাকে কোনো পদও দিবেন। কিন্তু আমি কোনোদিন তার কাছে থেকে চেয়ে কিছু নেব না। কারণ আমি দূরে থাকলেও, আমি চাই সে যেন সব সময় ভালো থাকে। কারণ আমি এরশাদকে এখনও ভালবাসি।

তিনি বলেন, এরশাদের বান্ধবীদের নিয়ে অনেকেই অনেক কথা আমাকে জানানোর চেষ্টা করে। আমাকে বলে। তার বান্ধবীদের ছবিও আমাকে পাঠায়। ঠিকানা পাঠায়। কিন্তু তা হলেও আমি তার ওই সব বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চাই না। বরং তিনি তার মতো আছেন। থাকুক। আমার খারাপ লাগে যখন অনেকেই বলে তার মাথা ঠিক নেই। বয়স হয়েছে। এই কারণে কথা ঠিক রাখতে পারেন না। কিন্তু আমি এই ব্যাপারে ভেতরকার কাহিনীগুলো জানি। কেন তিনি এমন করেন। তবে এরশাদের ও তার সন্তান এরিখের নিরাপত্তার কারণেই বলতে চাই না। কিন্তু একদিন মানুষ সবই জানবে। তাকে যারা ভিন্ন ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করেন। সেটা তার বাইরের কথা শুনে। তারা ভেতরকার কাহিনী না জেনেই বলেন। তিনি যখনই একটু সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। সত্য কথা বলার চেষ্টা করেন আর সরকার থেকে পদত্যাগ করতে চান, তখনই তাকে মামলা দিয়ে কারাগারের ভয় দেখানো হয়। আরও বলা হয়, তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। এটা ঠিক, এরশাদ করাগারে যেতে চান না। এই কারণে অবস্থান পরিষ্কার করলেও শেষ পর্যন্ত কাজটি করতে পারেন না।

তিনি বলেন, এরশাদ জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করেছেন কারণ তার আশঙ্কা তিনি মরে গেলে তার দলের ঐক্য থাকবে না। দলে নানা জটিলতা তৈরি হবে। রওশন এরশাদও দলের ঐক্য ধরে রাখতে পারবেন না। এই কারণে তিনি দলের একজন উত্তরসূরী তৈরি করতে চাইছেন। সেটা তিনি তার ভাইকেই করেছেন। জি এম কাদের মানুষ হিসেবে ভালো। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে তিনি এরশাদ সাহেবের মতো নন। তাকে কো-চেয়ারম্যান করাতে আমি খুশি। রুহুল আমিন হাওলাদারকে ফিরিয়ে আনাতে আমি মনে করি ঠিক করেছেন। হাওলাদার সাহেবও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বাবলু ছিল আমার বন্ধু। সে বন্ধু হয়েও বেঈমানী করেছে। তার কথা এরশাদের মুখেই শুনেছি তিনি নাকি বার বার এরশাদকে ব্ল্যাক মেইলিং করেছেন। এরশাদ নিজেই আমাকে বলেছেন, বাবলু আমাকে জেলে নেওয়ার ভয় দেখায়, সরকার থেকে পদত্যাগ করলে ভালো হবে না এই সব বলেও নানা ভয় দেখিয়েছে। আমাকে ইমোশনালি ব্ল্যাক মেইলিং করেছে।

এরিখের নামে এরশাদ সব সম্পদ ও সম্পত্তি দিয়েছেন এই জন্য কি আপনার প্রতি তার এই ভালোবাসা বিদিশা বলেন, তিনি তার ছেলেকে সব সম্পদ ও সম্পত্তি দিয়েছেন। আমার নামে তো আর দেননি। ছেলের নামে দিয়েছেন যাতে ছেলে ভালো থাকতে পারে। তিনি তা না দিলেও আমার যা সম্পদ ও সম্পত্তি রয়েছে তাতে আমার ছেলে-মেয়েদের দিন ভালোভাবেই চলে যাবে। আমার বড় সন্তানরাও এরিখকে তাদের ভাই মনে করে। আমি ও এরশাদ না থাকলেও তারা ওকে দেখবে। এই কারণে এরশাদের সম্পত্তির বিষয়টি নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। তিনি আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন আমি জেনে রেখেছি।

এরশাদ কি আপনাকে তার দলে নিতে পারে বলে মনে করছেন? তিনি বলেন, এটা আমি জানি না। তবে তার ঘনিষ্ঠ নেতারা অনেকেই আমাকে ফোন করেন। দেখা করতে আসেন। আমিও তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাকে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু সেটা তো আমি কোনো দিন বলতে যাব না। যখন এরশাদের কেউ থাকবে না তখন আমাকে তিনি তার পাশে চাইলে কি করব সেটা বলতে পারব না। তবে আমার সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে তার যত করব। তিনি আদৌ চাইবেন কিনা সেটা তো আমি জানি না।