ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠামইনে পর্যটকসেবায় বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল স্বপ্ননীড় উদ্বোধন করেন এম পি তৌফিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
  • ২২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে মিঠামইনে ‘স্বপ্ননীড়’ নামে বিলাসবহুল একটি আবাসিক হোটেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে আবাসিক হোটেলটির উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

উপজেলা সদরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে চারতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই আবাসিক হোটেলটি যাত্রা শুরু করেছে।

মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য সমীর কুমার বৈষ্ণব এই আবাসিক হোটেলের পরিচালক।

আবাসিক হোটেল ‘স্বপ্ননীড়’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আছিয়া আলম, ইউএনও প্রভাংশু সোম মহান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলিনুর খান, ওসি মো. জাকির রব্বানী, সদর  ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র বৈষ্ণব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাঈন উদ্দিন প্রমুখসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আবাসিক হোটেল ‘স্বপ্ননীড়’ এর পরিচালক সমীর কুমার বৈষ্ণব জানান, পর্যটকদের সুবিধার জন্য তিনি আবাসিক হোটেলটি দিয়েছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক রাষ্ট্রপতির নান্দনিক অলওয়েদার সড়ক উপভোগ করতে মিঠামইনে আসেন। সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি রেস্ট হাউজে থাকলেও বাইরের পর্যটকদের থাকার কোন ব্যবস্থা ছিল না। সেই দিক বিবেচনায় এই আবসিক হোটেলটি করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘হাওরে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে তুলনায় তাদের আবাসিক ব্যবস্থা অপ্রতুল। মিঠামইনে আল কামাল নামে আরো একটি বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেটির পরিচালক অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল।

প্রতিদিন মিঠামইনে সরকারি কোন না কোন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হাওরে ঘুরতে আসছেন। সরকারি ডাকবাংলোতে জায়গা হচ্ছে না। অনেককেই জায়গার অভাবে দিনশেষে ঢাকায় ফিরে যেতে হয়। এ ধরনের উন্নতমানের আবাসিক হোটেল আরো প্রয়োজন।

তবে রাস্তার দুইপাশে কোন আবাসিক হোটেল স্থাপন করা যাবে না, সে দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যটকদের জন্য মানসম্মত খাবারের হোটেলেরও প্রয়োজন। হাওরের সম্পদ যেন বিনষ্ট না হয় সে দিকে সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠামইনে পর্যটকসেবায় বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল স্বপ্ননীড় উদ্বোধন করেন এম পি তৌফিক

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে মিঠামইনে ‘স্বপ্ননীড়’ নামে বিলাসবহুল একটি আবাসিক হোটেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (২ নভেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে আবাসিক হোটেলটির উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

উপজেলা সদরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে চারতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই আবাসিক হোটেলটি যাত্রা শুরু করেছে।

মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য সমীর কুমার বৈষ্ণব এই আবাসিক হোটেলের পরিচালক।

আবাসিক হোটেল ‘স্বপ্ননীড়’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আছিয়া আলম, ইউএনও প্রভাংশু সোম মহান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলিনুর খান, ওসি মো. জাকির রব্বানী, সদর  ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র বৈষ্ণব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাঈন উদ্দিন প্রমুখসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আবাসিক হোটেল ‘স্বপ্ননীড়’ এর পরিচালক সমীর কুমার বৈষ্ণব জানান, পর্যটকদের সুবিধার জন্য তিনি আবাসিক হোটেলটি দিয়েছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক রাষ্ট্রপতির নান্দনিক অলওয়েদার সড়ক উপভোগ করতে মিঠামইনে আসেন। সরকারি কর্মকর্তারা সরকারি রেস্ট হাউজে থাকলেও বাইরের পর্যটকদের থাকার কোন ব্যবস্থা ছিল না। সেই দিক বিবেচনায় এই আবসিক হোটেলটি করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘হাওরে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সে তুলনায় তাদের আবাসিক ব্যবস্থা অপ্রতুল। মিঠামইনে আল কামাল নামে আরো একটি বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেটির পরিচালক অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল।

প্রতিদিন মিঠামইনে সরকারি কোন না কোন দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হাওরে ঘুরতে আসছেন। সরকারি ডাকবাংলোতে জায়গা হচ্ছে না। অনেককেই জায়গার অভাবে দিনশেষে ঢাকায় ফিরে যেতে হয়। এ ধরনের উন্নতমানের আবাসিক হোটেল আরো প্রয়োজন।

তবে রাস্তার দুইপাশে কোন আবাসিক হোটেল স্থাপন করা যাবে না, সে দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যটকদের জন্য মানসম্মত খাবারের হোটেলেরও প্রয়োজন। হাওরের সম্পদ যেন বিনষ্ট না হয় সে দিকে সকলেরই খেয়াল রাখা উচিত।’