ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিনহা হত্যা :কনস্টেবল রুবেল ফের ৫দিন রিমান্ডে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যার ‘নাটেরগুরু’ হিসেবে সমালোচিত বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অন্যতম সহযোগী কনস্টেবল রুবেল শর্মার ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার বেলা ১টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ তার পুনরায় রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক আটদিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় রুবেল শর্মার ৫দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে সাত দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছিল রুবেল শর্মাকে। রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও কিছু তথ্যের জন্য তার আরও রিমান্ড প্রয়োজন। তাই পুনরায় ৮দিনেট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত দ্বিতীয় দফায় তার আরও পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তথ্যমতে, সিনহা হত্যা মামলা ১৪ আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি হিসেবে সংযুক্ত হয় রুবেল শর্মা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। জনশ্রুতি রয়েছে কনস্টেবল রুবেল শর্মা টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম রুবেল শর্মার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪(টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ অক্টোবর তাকে রিমান্ড হেফাজতে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ৭ জন আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী, এপিবিএন চেকপোস্টের তিন সদস্যসহ আরও ৬ জনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। আর সর্বশেষ রুবেল শর্মাকে আসামী হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ১৪ আসামী সিনহা হত্যা মামলায় কারান্তরিণ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সিনহা হত্যা :কনস্টেবল রুবেল ফের ৫দিন রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ০৩:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যার ‘নাটেরগুরু’ হিসেবে সমালোচিত বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অন্যতম সহযোগী কনস্টেবল রুবেল শর্মার ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার বেলা ১টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ তার পুনরায় রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক আটদিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় রুবেল শর্মার ৫দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে সাত দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছিল রুবেল শর্মাকে। রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও কিছু তথ্যের জন্য তার আরও রিমান্ড প্রয়োজন। তাই পুনরায় ৮দিনেট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত দ্বিতীয় দফায় তার আরও পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তথ্যমতে, সিনহা হত্যা মামলা ১৪ আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি হিসেবে সংযুক্ত হয় রুবেল শর্মা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। জনশ্রুতি রয়েছে কনস্টেবল রুবেল শর্মা টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম রুবেল শর্মার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪(টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ অক্টোবর তাকে রিমান্ড হেফাজতে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ৭ জন আত্মসমর্পণ করেন। পরে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী, এপিবিএন চেকপোস্টের তিন সদস্যসহ আরও ৬ জনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। আর সর্বশেষ রুবেল শর্মাকে আসামী হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ১৪ আসামী সিনহা হত্যা মামলায় কারান্তরিণ রয়েছে।