ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিঠামইন কাটখাল ইউনিয়নর রান্নার গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • ২২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামে রান্না করার গ্যাসের সিলিন্ডারের আগুনে শিশু-নারীসহ একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ  দুপুরে রান্না করার সময় গ্যাসের পাইপের লিক থেকে গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে কাটখাল গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী সিপাইনেছা, দুই ছেলে কামাল ও আনোয়ার, মেয়ে তাসলিমা, দুই নাতি উম্মে হাবিবা ও উম্মে হানি এবং তাদের স্বজন পারভিন ও জুয়েনাসহ মোট ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়।

অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, চারদিনের একটি শিশু ছাড়া বাকি সবার শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের সবাইকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। অগিদগ্ধ জুয়েনা সাত মাসের গভীবর্তী।

প্রত্যক্ষদর্শী কাটখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শামসুল হক রানা জানান, হাজিপুর গ্রামের আবদুস সালামের ঘরে রান্না করার সিলিন্ডারের পাইপে ছিদ্র ছিল। সেই ছিদ্র দিয়ে আগেই গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে ছিল। সালামের স্ত্রী সিপাইনেছা রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালাতে পারছিলেন না। এ সময় তারা বাইরে থেকে আগুন নিয়ে চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ আগুনেই তারা দগ্ধ হয়। পরে এলাকাবাসী গিয়ে ঘরের আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

পুলিশের কাটখাল তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. মাসুদ মিয়া জানান, দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, গ্যাস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিলিন্ডার থেকে যে প্লাস্টিকের পাইপটি চুলায় গেছে। সেটিতে কোনো সমস্যা রয়েছে কি-না, এ বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে অনেকে খেয়াল করে না। আর এ অসাবধানতার কারণেই এতগুলো লোক দগ্ধ হয়েছে।

জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুড়ে যাওয়া দুই শিশুসহ আটজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। কারণ তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিঠামইন কাটখাল ইউনিয়নর রান্নার গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাজিপাড়া গ্রামে রান্না করার গ্যাসের সিলিন্ডারের আগুনে শিশু-নারীসহ একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ  দুপুরে রান্না করার সময় গ্যাসের পাইপের লিক থেকে গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে কাটখাল গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী সিপাইনেছা, দুই ছেলে কামাল ও আনোয়ার, মেয়ে তাসলিমা, দুই নাতি উম্মে হাবিবা ও উম্মে হানি এবং তাদের স্বজন পারভিন ও জুয়েনাসহ মোট ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়।

অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, চারদিনের একটি শিশু ছাড়া বাকি সবার শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের সবাইকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। অগিদগ্ধ জুয়েনা সাত মাসের গভীবর্তী।

প্রত্যক্ষদর্শী কাটখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শামসুল হক রানা জানান, হাজিপুর গ্রামের আবদুস সালামের ঘরে রান্না করার সিলিন্ডারের পাইপে ছিদ্র ছিল। সেই ছিদ্র দিয়ে আগেই গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে ছিল। সালামের স্ত্রী সিপাইনেছা রান্না করতে গিয়ে চুলা জ্বালাতে পারছিলেন না। এ সময় তারা বাইরে থেকে আগুন নিয়ে চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ আগুনেই তারা দগ্ধ হয়। পরে এলাকাবাসী গিয়ে ঘরের আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

পুলিশের কাটখাল তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. মাসুদ মিয়া জানান, দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, গ্যাস ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিলিন্ডার থেকে যে প্লাস্টিকের পাইপটি চুলায় গেছে। সেটিতে কোনো সমস্যা রয়েছে কি-না, এ বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে অনেকে খেয়াল করে না। আর এ অসাবধানতার কারণেই এতগুলো লোক দগ্ধ হয়েছে।

জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুড়ে যাওয়া দুই শিশুসহ আটজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। কারণ তাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।