দিল্লি থেকে পাচার হয়ে যাওয়া তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হল শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, এক মাসের জন্য প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা দেয়ার চুক্তিতে ওই তিন তরুণীকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
তিন তরুণীকে যে-ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল, একটি মেয়ে মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ করে দাদাকে সেই ঘরের ছবি পাঠিয়েছিলেন। আর সূত্র ধরেই শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তিন তরুণীকে। তাদের বয়স ২১ থেকে ২৭।
তরুণীদের খোঁজে বুধবার শিলিগুড়ির বিভিন্ন বার-এ অভিযান চালানো হয়। এক তরুণী সেই ঘর থেকে কোনও ভাবে বেরিয়ে এসে দাদাকে ঘরটির ছবি পাঠান। কোনও পাচারকারী ধরা পড়েনি।
তিন তরুণীর এক জন দিল্লি হাইকোর্টের এক আইনজীবীর বোন। পুলিশকে ওই তরুণীরা জানান, কয়েক মাস আগে এক দিল্লির ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার এক তরুণীর সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। সেই তরুণীই একটি বড় ইভেন্টে কাজের সুযোগ আছে বলে তাঁদের আশ্বাস দেন এবং পরিচয় করিয়ে দেন এক যুবকের সঙ্গে। এক মাসের জন্য প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা দেয়ার চুক্তিতে ওই তিন তরুণীকে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
তারা আরও জানান, দিল্লি থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত তাদের বিমানের টিকিট কেটে দেওয়া হয়। ৫ জানুয়ারি তারা বাগডোগরায় পৌঁছন। সেখানে তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা ছিল। শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর পরে সেবক রোডের একটি হোটেলে ঠাঁই হয় তাদের। সেখান থেকে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় ভক্তিনগর এলাকার একটি দোতলা বাড়িতে।