হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের বন্যা পরিস্থিতি গত ২৪ ঘণ্টায় তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) সাতটি নদীর পানি ১১ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সাতটি নদীর পানি ৯ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তার মধ্যে গাইবান্ধা পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, চক রহিমপুর পয়েন্টে করতোয়ার পানি ১০৮ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার, কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার, সিংড়া পয়েন্টে গুর নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার, বাঘাবাড়ি পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার, এলাসিন পয়েন্টে ধলেশ্বরী নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার, আত্রাই পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার এবং গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার (৪ অক্টোবর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নদ-নদীর পরিস্থিতি তুলে ধরে পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, কুশিয়ারা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদনদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণভাগে ১৬৬, সিলেটে ৫২ ও শেওলায় ৫২ মিলিমিটার। তবে দেশের উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি।