হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রফেসর উইলিয়াম জেমস বলেছেন, ‘মানব প্রকৃতির অন্তর্নিহিত বাসনা হচ্ছে যে, সে প্রশংসিত হতে চায়।’ কিন্তু কিভাবে প্রশংসিত হওয়া যায়? প্রশংসার ঝাঁপি খুলে বসলেই প্রশংসিত হওয়া যায় না। টাকা পয়সা দিয়ে মানুষের হয়তো ক্ষণিকের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়, তবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া যায়না। মানুষের মন জয় করতে হলে বিনয়ী হওয়া খুবই জরুরী। বিনয় মানুষের মাথায় সম্মানের মুকুট পড়ায়। তাই বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার চাইতে বিনয়ী হওয়া সব চাইতে সম্মানের। রাজনীতিবিদদের জনপ্রিয় হওয়ার ম্যাজিক হচ্ছে তার বিনয়। অহঙ্কার নয়- বিনয় তাকে জনগণের ভালোবাসার আসনে অধিষ্ঠিত করে। আমার দেখা মতে, মির্জা আজমের স্বভাবে বিনয় অধিকতর প্রস্ফূটিত। গোপালের সুগন্ধ যেমন ভ্রমরকে আকৃষ্টি করে- তেমনি বিনয়ও মানুষকে আকৃষ্টি করে। কথায় বলে শক্তিমত্তা দেখিয়ে হয়তো জনগণকে বশে রাখা যায়- কিন্তু তাদের হৃদয় জয় করা যায় না। মির্জা আজম ঠিক একইভাবে বিনয়ের মাধ্যমে শুধু নিজের রাজনৈতিক আদর্শের মানুষের মন জয় করেননি- ভালোবাসার আসন গেড়েছেন ভিন্নমতের মানুষের হৃদয়েও। সেই কারণে মির্জা আজম শুধু জামালপুরবাসীর কাছেই নয়- গোটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
করোনা মরামারিতেও তিনি অদম্য ছিলেন। ছুটে বেরিয়েছেন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সত্ত্বেও। জনস্বার্থে তিনি নিজের জীবনকেও বিপন্ন করতে পারেন- তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন অনেক বার। বিডিআর বিদ্রোহ দমন থেকে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতকে বিতাড়ন করে তিনি অসম সাহস দেখিয়েছেন। তেমনি উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকরী বিপ্লব সাধন করে চলেছেন। এক সময় তিনি ভেবেছিলেন তাঁর নির্বাচনী এলাকা মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলাকে দেশের অন্যতম মডেল উপজেলায় রূপান্তিত করবেন। সেই পর্ব শেষ করে এখন তিনি সমৃদ্ধ জামালপুর গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক মুহুর্তের জন্য বসে নেই মির্জা আজম। কোনো না কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
জামালপুর জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার তিনি ধর্না দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী মো. আব্দুল মান্নানের নিকট। তিনি একা যাননি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, জেলার তিন জন সংসদ সদস্যকে। তারা হলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. মুরাদ হাসান, আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল ও ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন সিআইপি। সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ অসুস্থতার কারণে যেতে পারেন নি। জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হলে সমন্বিত প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করেন মির্জা আজম। কাউকে বাদ দিয়ে নয় অথবা একা একা নয়। সকলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি উন্নয়নের পথে হাটতে চান। পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে তিন জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করে তিনি সেটা প্রমাণ করেছেন। একত্রে এই পথ চলা সূচনা করে মির্জা আজম এক অনন্য নজীর স্থাপন করলেন।
মির্জা আজম বলেন, ‘জামালপুরকে দেশের ১০ মডেল জেলার তালিকায় উন্নীত করাই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। ব্যক্তিগত ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বা বাহবা কুড়ানোর জন্য কাজ করি না। জেলায় যে সকল উন্নয়ন কাজ চলছে সেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদন্যতায়। আমার কোনো কৃতিত্ব নাই। কিভাবে জামালপুর জেলাকে সমৃদ্ধ জেলায় রূপান্তরিত করা যায়- সেটাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।’
মির্জা আজম আরও বলেন, ‘চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এবং আরও যেসব উন্নয়ন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে- সেগুলো বাস্তবায়িত হলে জামালপুর হবে সিঙ্গাপুরের মত একটি স্মার্ট সিটি। বহির্বিশ্ব থেকেও পর্যটকরা আসবেন জামালপুর শহর দেখতে। লাখ লাখ মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দারিদ্র বিমোচন হবে এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসবে। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। এটাই আমার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন ঘুমায়ে দেখা সম্ভব নয়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে জেগে থাকা লাগবে। আমি জেগে আছি সারাক্ষণ।
সূত্র: বিডি পাবলিক