ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তরালে ‘বন্ড ০০৭ গ্রুপ’: ধরাছোঁয়ার বাইরে নেপথ্য নায়করা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় নয়ন বন্ডের গড়া ‘গ্রুপ ০০৭’ নামের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের সদস্যরা এখন অন্তরালে। রিফাত শরীফ হত্যার পর তাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা এখন কোথায়- এমন প্রশ্ন বরগুনাবাসীর। বিশেষ করে বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এ প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।

তবে এই গ্রুপের নেপথ্য নায়করা (গডফাদার) প্রকাশ্যে থাকলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে-এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের মতে, নয়ন বন্ড তৈরি করে যারা মাদক ব্যবসা করেছে, তাদের (গডফাদার) আইনের আওতায় আনলে বরগুনা শহরে তথা জেলায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস কমে যাবে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ জুন রিফাত হত্যার পর দেশজুড়ে আলোচনায় আসে নয়ন বন্ড ও তার ০০৭ গ্রুপের নাম। একই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয়ন। রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ যে অভিযোগপত্র দেয়, তাতে বলা হয়, নয়ন বন্ডের গড়ে তোলা ০০৭ নামে মেসেঞ্জার গ্রুপে ১০৬ জন সদস্য ছিল। কিন্তু রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে এই বাহিনীর ২৩ জন আসামি হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জন কিশোর। এরা স্কুলপড়ুয়া যুবক।

বাহিনীটির দ্বিতীয় প্রধান ছিলেন নয়নের প্রধান সহযোগী ও রিফাত হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী (মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত)। আর কিশোরদের সমন্বয় করত রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই রিশান ফরাজী। রিশান ফরাজীও রিফাত হত্যা মামলার কিশোর আসামিদের মধ্যে ১ নম্বর। এই বাহিনীর বাকি সদস্যদের ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।

বরগুনা শহরের বিভিন্ন সূত্র বলছে, নয়ন মারা যাওয়ার পর বরগুনায় কিশোর গ্যাং কালচার কিছুটা স্তিমিত হলেও ০০৭ বাহিনীর কিশোর ও তরুণ সদস্যরা পর্দার আড়ালে এখনও সক্রিয়। নয়ন নিহত হওয়ার পর এ বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে টিম-৬১ নামে আরেকটি মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। এটির তথ্য জানাজানি হলে তারা গ্রুপ ভেঙে দেয়।

একই সূত্রে জানা যায়, মূলত শহরে এখন তিনটি গ্যাং রয়েছে। এর মধ্যে শহরের আমতলাপাড়, ডিকেপি রোড, কলেজ রোড, কলেজ ক্যাম্পাস, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সড়ক এলাকায় নয়নের গড়া বাহিনীর সদস্যরা এখনও নানা অপকর্মে সক্রিয় রয়েছে। এই গ্রুপটি বর্তমানেও শহরে ও বাইরে দাপিয়ে বেড়ায় এবং নয়ন রিফাত গংদের মতোই মাদকসহ ছোটখাটো নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

এ ছাড়াও শহরের পিটিআই, জিলা স্কুল, খাড়াকান্দা, শহীদ স্মৃতি সড়ক এলাকায় একটি কিশোর দলের নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা। এই গ্রুপটির কয়েকজন সদস্য ইয়াবাসেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে। তবে গ্রুপের নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে কিশোরদের ব্যবহার করে ইয়াবার ব্যবসা চালাচ্ছেন। গ্রুপটি মূলত জিলা স্কুল ও খারাকান্দাকেন্দ্রিক নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ নেতা এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিলেও তার নাম প্রকাশ্যে কেউ বলতে সাহস পাচ্ছেন না।

এছাড়া শহরের চরকলোনি, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ও মহিলা কলেজ এলাকায় আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রদলের সাবেক এক ক্যাডার। তবে তিনি এখন জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। কে সেই নেতা, তা কেউ বলতে রাজি নয়। এই দলটিরই এক সদস্য যিনি বরগুনা ভোকেশলাল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।

গত ঈদের দিন পায়রা নদীর তীরে গুলবুনিয়া এলাকায় ঘুরতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। একপর্যায়ে গ্যাং গ্রুপকে খবর দিয়ে স্থানীয়দের মারধর করে হৃদয় নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রুপটির সদস্যরা অস্ত্র ও মাদক নিয়ে এলাকায় এক প্রকার ত্রাসের সৃষ্টি করেছে বলেও চরকলোনি, স্টেডিয়ামসহ আশপাশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বরগুনার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ মৃধা যুগান্তরকে বলেন, ০০৭ বন্ড গ্রুপ সৃষ্টি হয় মাদক কেনাবেচার মধ্য দিয়ে। এর পেছনে গডফাদার ছিল।

কে এই গডফাদার- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সরকারি দলের নেতা। আমার পক্ষে নিশ্চিত করে সব কথা বলা সম্ভব নয়।

তিনি এও বলেন, গডফাদার সরকারি দলের ছাড়া অন্য দলের হতে পারে না। তবে রিফাত হত্যার পরে এবং বুধবারে যুগান্তকারী রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে উঠতি বয়সী সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু যুগান্তরকে বলেন, নয়ন বন্ড তৈরির পেছনে অবশ্যই গডফাদার ছিল। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। গডফাদার নির্মূল না হলে মাদক সন্ত্রাস কমবে না।

বরগুনায় পরিবারতন্ত্র হয়েছে-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, একজন প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন নেতা সবক্ষেত্রে পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। নয়ন বন্ড তৈরি করে যারা মাদক ব্যবসা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে বরগুনা শহরে তথা জেলায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস কমে যাবে।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান যুগান্তরকে বলেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের পেছনে গডফাদার ছিল। যদি গডফাদার না থাকবে, তাহলে মুসা বন্ড কেন ধরা পরল না।

তিনি বলেন, নয়ন বন্ড একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিল। মাদক দিয়ে রিফাত শরীফকে একবার ফাঁসিয়ে দেয়। আমি এই ব্যাপারে অভি ও মুসাকে নিয়ে একবার সম্মেলনও করেছি। আমি বারবারই বলে আসছি, মাদক নির্র্মূল করতে হলে আগে গডফাদারদের ধরতে হবে। কে গডফাদার, তা নিশ্চিত করে বলতে চাইছে না।

তবে তিনি বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলেই গডফাদার কারা খুঁজে বের করতে পারেন।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমি বরগুনায় নতুন যোগদান করেছি। নয়ন বন্ডের সন্ত্রাসী দলের সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। নয়ন বন্ড তৈরির পেছনে যারা গডফাদার ছিল, তাদের চিহ্নিত করেছি। এখনই নাম বলতে চাই না। আমি অসুস্থ। একটু সুস্থ হলে গডফাদার যারা আছে, তাদের গ্রেফতার করব। তবে আমি মনে করি, রিফাত হত্যার পর শহরে এখন আর কোনো কিশোর সন্ত্রাসী দলের অস্তিত্ব নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অন্তরালে ‘বন্ড ০০৭ গ্রুপ’: ধরাছোঁয়ার বাইরে নেপথ্য নায়করা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় নয়ন বন্ডের গড়া ‘গ্রুপ ০০৭’ নামের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের সদস্যরা এখন অন্তরালে। রিফাত শরীফ হত্যার পর তাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা এখন কোথায়- এমন প্রশ্ন বরগুনাবাসীর। বিশেষ করে বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর এ প্রশ্ন সবার মুখে মুখে।

তবে এই গ্রুপের নেপথ্য নায়করা (গডফাদার) প্রকাশ্যে থাকলেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে-এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের মতে, নয়ন বন্ড তৈরি করে যারা মাদক ব্যবসা করেছে, তাদের (গডফাদার) আইনের আওতায় আনলে বরগুনা শহরে তথা জেলায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস কমে যাবে।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ জুন রিফাত হত্যার পর দেশজুড়ে আলোচনায় আসে নয়ন বন্ড ও তার ০০৭ গ্রুপের নাম। একই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয়ন। রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ যে অভিযোগপত্র দেয়, তাতে বলা হয়, নয়ন বন্ডের গড়ে তোলা ০০৭ নামে মেসেঞ্জার গ্রুপে ১০৬ জন সদস্য ছিল। কিন্তু রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে এই বাহিনীর ২৩ জন আসামি হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জন কিশোর। এরা স্কুলপড়ুয়া যুবক।

বাহিনীটির দ্বিতীয় প্রধান ছিলেন নয়নের প্রধান সহযোগী ও রিফাত হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী (মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত)। আর কিশোরদের সমন্বয় করত রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই রিশান ফরাজী। রিশান ফরাজীও রিফাত হত্যা মামলার কিশোর আসামিদের মধ্যে ১ নম্বর। এই বাহিনীর বাকি সদস্যদের ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।

বরগুনা শহরের বিভিন্ন সূত্র বলছে, নয়ন মারা যাওয়ার পর বরগুনায় কিশোর গ্যাং কালচার কিছুটা স্তিমিত হলেও ০০৭ বাহিনীর কিশোর ও তরুণ সদস্যরা পর্দার আড়ালে এখনও সক্রিয়। নয়ন নিহত হওয়ার পর এ বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে টিম-৬১ নামে আরেকটি মেসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। এটির তথ্য জানাজানি হলে তারা গ্রুপ ভেঙে দেয়।

একই সূত্রে জানা যায়, মূলত শহরে এখন তিনটি গ্যাং রয়েছে। এর মধ্যে শহরের আমতলাপাড়, ডিকেপি রোড, কলেজ রোড, কলেজ ক্যাম্পাস, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সড়ক এলাকায় নয়নের গড়া বাহিনীর সদস্যরা এখনও নানা অপকর্মে সক্রিয় রয়েছে। এই গ্রুপটি বর্তমানেও শহরে ও বাইরে দাপিয়ে বেড়ায় এবং নয়ন রিফাত গংদের মতোই মাদকসহ ছোটখাটো নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

এ ছাড়াও শহরের পিটিআই, জিলা স্কুল, খাড়াকান্দা, শহীদ স্মৃতি সড়ক এলাকায় একটি কিশোর দলের নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা। এই গ্রুপটির কয়েকজন সদস্য ইয়াবাসেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে। তবে গ্রুপের নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে কিশোরদের ব্যবহার করে ইয়াবার ব্যবসা চালাচ্ছেন। গ্রুপটি মূলত জিলা স্কুল ও খারাকান্দাকেন্দ্রিক নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ নেতা এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিলেও তার নাম প্রকাশ্যে কেউ বলতে সাহস পাচ্ছেন না।

এছাড়া শহরের চরকলোনি, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ও মহিলা কলেজ এলাকায় আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রদলের সাবেক এক ক্যাডার। তবে তিনি এখন জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। কে সেই নেতা, তা কেউ বলতে রাজি নয়। এই দলটিরই এক সদস্য যিনি বরগুনা ভোকেশলাল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।

গত ঈদের দিন পায়রা নদীর তীরে গুলবুনিয়া এলাকায় ঘুরতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। একপর্যায়ে গ্যাং গ্রুপকে খবর দিয়ে স্থানীয়দের মারধর করে হৃদয় নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করে। গ্রুপটির সদস্যরা অস্ত্র ও মাদক নিয়ে এলাকায় এক প্রকার ত্রাসের সৃষ্টি করেছে বলেও চরকলোনি, স্টেডিয়ামসহ আশপাশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বরগুনার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ মৃধা যুগান্তরকে বলেন, ০০৭ বন্ড গ্রুপ সৃষ্টি হয় মাদক কেনাবেচার মধ্য দিয়ে। এর পেছনে গডফাদার ছিল।

কে এই গডফাদার- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি সরকারি দলের নেতা। আমার পক্ষে নিশ্চিত করে সব কথা বলা সম্ভব নয়।

তিনি এও বলেন, গডফাদার সরকারি দলের ছাড়া অন্য দলের হতে পারে না। তবে রিফাত হত্যার পরে এবং বুধবারে যুগান্তকারী রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে উঠতি বয়সী সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু যুগান্তরকে বলেন, নয়ন বন্ড তৈরির পেছনে অবশ্যই গডফাদার ছিল। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। গডফাদার নির্মূল না হলে মাদক সন্ত্রাস কমবে না।

বরগুনায় পরিবারতন্ত্র হয়েছে-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, একজন প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন নেতা সবক্ষেত্রে পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। নয়ন বন্ড তৈরি করে যারা মাদক ব্যবসা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনলে বরগুনা শহরে তথা জেলায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস কমে যাবে।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান যুগান্তরকে বলেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের পেছনে গডফাদার ছিল। যদি গডফাদার না থাকবে, তাহলে মুসা বন্ড কেন ধরা পরল না।

তিনি বলেন, নয়ন বন্ড একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিল। মাদক দিয়ে রিফাত শরীফকে একবার ফাঁসিয়ে দেয়। আমি এই ব্যাপারে অভি ও মুসাকে নিয়ে একবার সম্মেলনও করেছি। আমি বারবারই বলে আসছি, মাদক নির্র্মূল করতে হলে আগে গডফাদারদের ধরতে হবে। কে গডফাদার, তা নিশ্চিত করে বলতে চাইছে না।

তবে তিনি বলেন, পুলিশ ইচ্ছা করলেই গডফাদার কারা খুঁজে বের করতে পারেন।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমি বরগুনায় নতুন যোগদান করেছি। নয়ন বন্ডের সন্ত্রাসী দলের সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। নয়ন বন্ড তৈরির পেছনে যারা গডফাদার ছিল, তাদের চিহ্নিত করেছি। এখনই নাম বলতে চাই না। আমি অসুস্থ। একটু সুস্থ হলে গডফাদার যারা আছে, তাদের গ্রেফতার করব। তবে আমি মনে করি, রিফাত হত্যার পর শহরে এখন আর কোনো কিশোর সন্ত্রাসী দলের অস্তিত্ব নেই।