ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার আমল সমকালীন বিশ্বে স্বর্ণালি অধ্যায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০
  • ১৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, সমকালীন বিশ্বে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও ক্ষমতায় থাকা আমল একটা স্বর্ণালি অধ্যায়। এ অধ্যায় কেউ কোনোদিন স্পর্শ করতে পারবে না। বাঙালি জাতির পরিত্রাণদাত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শাসক হিসেবে আদর্শ, রাজনীতিক হিসেবে আদর্শ। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় অতিক্রম করে তিনি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। শেখ হাসিনার আমল ইতিহাসের অনন্য অধ্যায় হিসেবে সূচিত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন এমএইচ আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ হতো। কারণ শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর ইতিহাস পরিচ্ছন্নভাবে বিকশিত হওয়া শুরু করেছে। রক্তে যার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার তাকে পরাভব মানানো যায় না। দেশে ফিরে দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি ফিরে এসেছি দেশের সব মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণ করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় উন্নত দেশে পরিণত করেছেন। অধঃপতিত, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রাষ্ট্রকে তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এজন্য তাকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।

শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, এ দেশটা অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল এ দেশে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে আবার পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। কলঙ্কিত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আজ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় বিশ্বের সেরা সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রবীণতম রাজনৈতিক নেতা। তিনি সেই নেতা, যার কারণে কোভিড-১৯ এর সময়ে দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের মধ্যে শেখ হাসিনা সেরা ব্যবস্থাপক। ৬৭ বছরের ছিটমহল সমস্যা সমাধান করে, সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা পরিণত হয়েছেন সেরা কূটনীতিকে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০টির অধিক সম্মাননা পেয়েছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রিকতা। অসাম্প্রদায়িকতার নিউক্লিয়াস। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল তিনি। এ কারণে আমাদের শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, বিনম্রতায়, কাজের মধ্যে সব সময় তাকে স্মরণ করতে হবে। আলোচনা সভার শুরুতে শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মঙ্গল কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শেখ হাসিনার আমল সমকালীন বিশ্বে স্বর্ণালি অধ্যায়

আপডেট টাইম : ০৯:২৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, সমকালীন বিশ্বে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও ক্ষমতায় থাকা আমল একটা স্বর্ণালি অধ্যায়। এ অধ্যায় কেউ কোনোদিন স্পর্শ করতে পারবে না। বাঙালি জাতির পরিত্রাণদাত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শাসক হিসেবে আদর্শ, রাজনীতিক হিসেবে আদর্শ। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় অতিক্রম করে তিনি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। শেখ হাসিনার আমল ইতিহাসের অনন্য অধ্যায় হিসেবে সূচিত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন এমএইচ আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ হতো। কারণ শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর ইতিহাস পরিচ্ছন্নভাবে বিকশিত হওয়া শুরু করেছে। রক্তে যার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার তাকে পরাভব মানানো যায় না। দেশে ফিরে দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি ফিরে এসেছি দেশের সব মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণ করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় উন্নত দেশে পরিণত করেছেন। অধঃপতিত, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রাষ্ট্রকে তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। এজন্য তাকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।

শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, এ দেশটা অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল এ দেশে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে আবার পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন। কলঙ্কিত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আজ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় বিশ্বের সেরা সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রবীণতম রাজনৈতিক নেতা। তিনি সেই নেতা, যার কারণে কোভিড-১৯ এর সময়ে দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। সংকট মোকাবেলায় বিশ্বের মধ্যে শেখ হাসিনা সেরা ব্যবস্থাপক। ৬৭ বছরের ছিটমহল সমস্যা সমাধান করে, সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করে শেখ হাসিনা পরিণত হয়েছেন সেরা কূটনীতিকে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪০টির অধিক সম্মাননা পেয়েছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রিকতা। অসাম্প্রদায়িকতার নিউক্লিয়াস। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল তিনি। এ কারণে আমাদের শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, বিনম্রতায়, কাজের মধ্যে সব সময় তাকে স্মরণ করতে হবে। আলোচনা সভার শুরুতে শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মঙ্গল কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।