হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘হাওরের বিস্ময়’ খ্যাত কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অল-ওয়েদার সড়ক। হাওরের দুর্গম তিনটি উপজেলাকে সংযুক্ত করে নির্মিত এ পাকা রাস্তাটি বদলে দিচ্ছে, এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা। দেখা দিয়েছে, পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ রাস্তাটি ভবিষ্যতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
দিগন্ত বিস্তৃত হাওরের মাঝখান দিয়ে পিচঢালা প্রশস্ত উঁচু সড়ক। দুই পাশে উত্তাল ঢেউওয়ের গর্জন। সড়কে সাঁই সাইঁ করে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। দূর থেকে মনে হবে যেনো যেতে যেতে পাকা রাস্তা মিশে গেছে জলের বুকে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি জীববৈচিত্রের এক অপরূপ এলাকা কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল। আর হাওরের সৌন্দর্য যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে এ একটি সড়ক। এক সময়ের অবহেলিত হাওর জনপদ জেলার ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে এ অলওয়েদার সড়ক। সড়কটি হাওরবাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছে ‘হাওরের বিষ্ময়’ কিংবা ‘স্বপ্নের সড়ক’ নামে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় কর্মসংস্থান বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। হাওরকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা।
গত অর্থ বছরে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘অল ওয়েদার সড়ক’ নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাসেদুল আলম বলেন, এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
ভবিষ্যতে এ সড়কটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর পর্যন্ত বর্ধিত করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান, এলাকার সংসদ সদস্য।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, সড়কটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর পর্যন্ত বর্ধিত হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
শুকনো মৌসুমে জেলা সদরসহ সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় আরও ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৩৬ কিলোমিটার সাব-মার্সেবল সড়ক। যানবাহন পারাপারে ধনু ও বাওলাই নদীতে বসানো হয়েছে ৫টি ফেরি।