ভাগ্যান্বেষণে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমানো বাংলাদেশি তরুণ চিকিৎসক এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০ পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞদের একজন। দামি রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার মতো ডলার পকেটে না থাকায় একসময় সস্ত্রীক নিউইয়র্কের ম্যাকডোনাল্ড রেস্তোরাঁয় সস্তাদামের দুটো ছোট বনরুটি ভাগাভাগি করে খেতেন। সেই তিনি এখন ফ্লোরিডার পটে আঁকা ছবির মতো সুন্দর অরলান্ডো শহরে বাস করেন।
শহরটির চারদিকে সমুদ্রবেষ্টিত। বিশ্ববিখ্যাত ডিজনিওয়ার্ল্ড, ইউনিভার্সেল স্টুডিও, সিওয়ার্ল্ডসহ কি নেই সেই শহরে। ইচ্ছে করলেই এখন তিনি খেতে পারেন যেকোনো দামি রেস্টুরেন্টে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি এই চিকিৎসকের নাম অধ্যাপক বিএম আতিকুজ্জামান।
বর্তমানে কলেজ অব মেডিসিন সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত। স্ত্রী ডা. তাহসিনা ইয়াসমিনও একজন চিকিৎসক।
তারা কেমন আছেন মঙ্গলবার এমন প্রশ্ন করলে দু’জনে প্রায় একই সঙ্গে বলে ওঠেন, যখন সস্তা বনরুটি ভাগাভাগি করে খেতাম তখন বলতাম ‘আহ, হাউ হ্যাপি উই আর’। এখনও একই কথা বলি। সুখী ছিলাম, সুখী আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ।
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বিএম আতিকুজ্জামান তার স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরেন। গন্তব্যহীনভাবে যাত্রা শুরু করে কিভাবে সাফল্যের চূঁড়ায় পৌঁছালেন তার টুকরো টুকরো স্মৃতিচারণ করেন।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এম আসাদুজ্জামান ও স্কুল শিক্ষিকা খোদেজা জামান দম্পত্তির চার ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। পৈত্রিক বাড়ি নড়াইল হলেও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি, নটরডেমে থেকে এইচএসসি পাসের পর ২৮তম ব্যাচে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ও ১৯৯৩ সালে ইন্টার্নশিপ শেষ করেন।