ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা: তথ্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩৩৪ বার

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ৫ জানুয়ারি ছিল খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচন এড়ানো সম্ভব ছিল না। খালেদা সবকিছু জেনেও অযৌক্তিক দাবি তোলেন কিন্তু সংলাপ এড়িয়ে যান, সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেন।

সোমবার বিকালে ‘অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতিঃ গণতান্ত্রিক শক্তির করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জাসদ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ছাড় দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে খালেদা জিয়াকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। কিন্তু খালেদা জিয়া সংলাপ-সমঝোতা-সমাধানের পথ বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন, নাশকতা-অন্তর্ঘাত-হত্যা-খুনের তাণ্ডবে মেতে উঠলেন। খালেদা জিয়া আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলেন, নির্বাচন তার এজেন্ডা ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে সাংবিধানিক ধারার বাইরে ঠেলে দেয়া; অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরী করে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন বানচাল করে সংবিধান হত্যা করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস আসলে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস নয়: ৫ জানুয়ারি আসলে ছিল সংবিধান রক্ষা দিবস’।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৬

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ৫ জানুয়ারি ছিল খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচন এড়ানো সম্ভব ছিল না। খালেদা সবকিছু জেনেও অযৌক্তিক দাবি তোলেন কিন্তু সংলাপ এড়িয়ে যান, সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেন।

সোমবার বিকালে ‘অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতিঃ গণতান্ত্রিক শক্তির করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জাসদ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ছাড় দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে খালেদা জিয়াকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। কিন্তু খালেদা জিয়া সংলাপ-সমঝোতা-সমাধানের পথ বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন, নাশকতা-অন্তর্ঘাত-হত্যা-খুনের তাণ্ডবে মেতে উঠলেন। খালেদা জিয়া আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলেন, নির্বাচন তার এজেন্ডা ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে সাংবিধানিক ধারার বাইরে ঠেলে দেয়া; অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরী করে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন বানচাল করে সংবিধান হত্যা করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস আসলে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস নয়: ৫ জানুয়ারি আসলে ছিল সংবিধান রক্ষা দিবস’।