ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগাম রূপবানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২২২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীষ্মে আগাম লাগানো শিম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম রূপবান (স্থানীয় নাম) প্রজাতির শিম। আগাম শিম বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কৃষকরা পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছেন। রূপবান জাতের শিম চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক চাষি আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ের গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।

মাশলিয়া গ্রামে শিমচাষি রকিবুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে আগাম রূপবান জাতের লাল শিম লাগিয়েছেন। দেড় বিঘা জমিতে তার সার, সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি দুই দফায় ৫ হাজার টাকার শিমও বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ৭০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছেন। অবশ্য খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছেন। তিনি আরো জানান, আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ৬ মাসে তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে।

তিনি জানান, এখন কয়েক মাস শিমের দাম ভালো পাওয়া যাবে। শীতের সময় শিমের দাম কমে যায়। তখন কৃষকদের ১০/১২ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হয়। খুচরা বিক্রেতা তখন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেন। সবমিলিয়ে খরচ খরচা বাদে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।

কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান ২ বিঘা জমিতে একই গ্রামের বাহার আলী দেড় বিঘা জামিতে, নিত্যানন্দী গ্রামের কামরুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন আড়াই বিঘা জমিতে, গৌরিনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন দেড় বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষি শিমের আবাদ করেছেন। এসব চাষিরা ক্ষেত থেকে শিম তুলে কয়েক দফায় বাজারে বিক্রিও করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় রূপবানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে আগাম জাতের শিমের চাষ বেশি হয়েছে। এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষিদের সার, বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সার্বিকভাবে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আগাম রূপবানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

আপডেট টাইম : ০৩:০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীষ্মে আগাম লাগানো শিম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম রূপবান (স্থানীয় নাম) প্রজাতির শিম। আগাম শিম বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কৃষকরা পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছেন। রূপবান জাতের শিম চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক চাষি আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ের গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।

মাশলিয়া গ্রামে শিমচাষি রকিবুল ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে আগাম রূপবান জাতের লাল শিম লাগিয়েছেন। দেড় বিঘা জমিতে তার সার, সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি দুই দফায় ৫ হাজার টাকার শিমও বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ৭০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছেন। অবশ্য খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছেন। তিনি আরো জানান, আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ৬ মাসে তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে।

তিনি জানান, এখন কয়েক মাস শিমের দাম ভালো পাওয়া যাবে। শীতের সময় শিমের দাম কমে যায়। তখন কৃষকদের ১০/১২ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হয়। খুচরা বিক্রেতা তখন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেন। সবমিলিয়ে খরচ খরচা বাদে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।

কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান ২ বিঘা জমিতে একই গ্রামের বাহার আলী দেড় বিঘা জামিতে, নিত্যানন্দী গ্রামের কামরুল ইসলাম দেড় বিঘা জমিতে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন আড়াই বিঘা জমিতে, গৌরিনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন দেড় বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষি শিমের আবাদ করেছেন। এসব চাষিরা ক্ষেত থেকে শিম তুলে কয়েক দফায় বাজারে বিক্রিও করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় রূপবানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী হোসেন জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় বারবাজার ও কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে আগাম জাতের শিমের চাষ বেশি হয়েছে। এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষিদের সার, বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সার্বিকভাবে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।