ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে নামাজে ২৭ গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া যায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৩৯৩ বার

যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সাথে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করল তার জন্য দু’টি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হল, ১. জাহান্নাম হতে ও ২. মুনাফিক্বী হতে (বুখারী ও মুসলিম মিশকাত ২১৭পৃষ্ঠা)। এবং ‘যে ব্যক্তি জামায়াতের সাথে ইশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামাজ জামায়াতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) নামাজ পড়ল” (মুসলিম)। তিনি আরো বলেন, “যদি লোকে ইশা ও ফজরের নামাজের ফজীলত জানত, তাহলে তাদেরকে হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ঐ নামাজদ্বয়ে আসত (বুখারী, মুসলিম)। প্রসিদ্ধ তাবেঈ সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব (রহ.) ও কা’ব আল আহবার (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! নিন্মোক্ত আয়াত তাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা নামাজ পড়তে জামায়াতে আসেনা।’ মহান আল্লাহ বলেন, (স্মরণ কর বিচার দিনের কথা) সেদিন পায়ের নলা উন্মোচন করা হবে এবং ওদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান করা হবে কিন্তু ওরা তা করতে সক্ষম হবে না, হীনতাগ্রস্থ হয়ে ওরা ওদের দৃষ্টি অবনত করবে, অথচ ওরা যখন নিরাপদ ছিল, তখন ওদের আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে (আল-কুরআন ৬৮/৪২-৪৩)। ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “একাকীর নামায অপেক্ষা জামাতের নামায সাতাশ গুণ উত্তম।”(সহীহুল বুখারী ৬৪৫, মুসলিম ৬৫০, তিরমিযী ২১৫, নাসায়ী ৮৩৭, ইবনু মাজাহ ৭৮৯, আহমাদ ৪৬৫৬, ৫৩১০, ৫৭৪৫, ৫৮৮৫, ৬৪১৯, মুওয়াত্তা মালিক ২৯০)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যে নামাজে ২৭ গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া যায়

আপডেট টাইম : ১০:১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৬

যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সাথে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করল তার জন্য দু’টি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হল, ১. জাহান্নাম হতে ও ২. মুনাফিক্বী হতে (বুখারী ও মুসলিম মিশকাত ২১৭পৃষ্ঠা)। এবং ‘যে ব্যক্তি জামায়াতের সাথে ইশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামাজ জামায়াতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে (ইবাদত) নামাজ পড়ল” (মুসলিম)। তিনি আরো বলেন, “যদি লোকে ইশা ও ফজরের নামাজের ফজীলত জানত, তাহলে তাদেরকে হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ঐ নামাজদ্বয়ে আসত (বুখারী, মুসলিম)। প্রসিদ্ধ তাবেঈ সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব (রহ.) ও কা’ব আল আহবার (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! নিন্মোক্ত আয়াত তাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা নামাজ পড়তে জামায়াতে আসেনা।’ মহান আল্লাহ বলেন, (স্মরণ কর বিচার দিনের কথা) সেদিন পায়ের নলা উন্মোচন করা হবে এবং ওদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান করা হবে কিন্তু ওরা তা করতে সক্ষম হবে না, হীনতাগ্রস্থ হয়ে ওরা ওদের দৃষ্টি অবনত করবে, অথচ ওরা যখন নিরাপদ ছিল, তখন ওদের আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে (আল-কুরআন ৬৮/৪২-৪৩)। ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “একাকীর নামায অপেক্ষা জামাতের নামায সাতাশ গুণ উত্তম।”(সহীহুল বুখারী ৬৪৫, মুসলিম ৬৫০, তিরমিযী ২১৫, নাসায়ী ৮৩৭, ইবনু মাজাহ ৭৮৯, আহমাদ ৪৬৫৬, ৫৩১০, ৫৭৪৫, ৫৮৮৫, ৬৪১৯, মুওয়াত্তা মালিক ২৯০)