পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সিলেকশন গ্রেড বহাল ও গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
শনিবার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে দীর্ঘ বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, সরকার ঘোষিত ৮ম জাতীয় বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন ও দাবিসমূহের প্রতিফলন না ঘটায় আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করা হবে। এছাড়া ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন এবং প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের (শিক্ষকদের) দাবি সম্পর্কে অবগত করবেন। ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে ধর্মঘট পালন করা হবে। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দিবসটি সর্বাত্মকভাবে পালনের লক্ষে কর্মবিরতি বন্ধ থাকবে।
এসময় ১১ জানুয়ারির আগে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের আলোচনার কথা বলা হলে শিক্ষকরা অলোচনায় বসবেন কিন্তু কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। মাকসুদ কামাল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষকদের দেয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে নতুনভাবে বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারি করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলন থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক শিক্ষকদের নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল করে দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সাথে অর্থমন্ত্রণালায় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বেতন বৈষম্য প্রতিরোধ কমিটি বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেয়া পরিপত্রের সাথে যারা জড়িত সচিবদের শাস্তির দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সচিবদের ন্যায় সরকার কর্তৃক গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও দেয়ার দাবি জানানো হয় ।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের সাথে ৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে যে তিনটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন না করায় আমরা প্রতারিত হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।