ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোপা আমনে আউশের ক্ষতি পোষাণোর স্বপ্ন হবিগঞ্জের চাষিদের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
  • ২০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জে পুরোদমে চলছে রোপা আমনের চাষাবাদ। এখন শেষ পর্যায়ে। বিশেষ করে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া আউশ ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হাওর এলাকার কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

হাওর ছাড়া উঁচু জমিতে রোপা আমন রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর আগে পাহাড়ি ঢলে হাওরসহ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আউশ ধানের বেশ ক্ষতি হয়। কৃষকদের ধারণা রোপা আমনে সে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

জেলার লাখাই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এবারের রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৫০ হেক্টর। এরই মধ‌্যে লাখাই উপজেলায় এক হাজার ৭০০ হেক্টর রোপণ হয়েছে।

কৃষক ভিংরাজ মিয়া, সবুজ মিয়া, খায়রুল আলম, রুয়েল মিয়া, হোসেন মিয়া বলেন— ‘টানা বৃষ্টির পাহাড়ি ঢলে নিচু জমিতে আউশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে আমরা রোপা আমনের ওপর জোর দিয়েছি। আশা করা যাচ্ছে ভাল ফলন আসবে। এতে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব হবে।’

লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজহার মাহমুদ জানান, বন্যায় এবার প্রায় ৭০ শতাংশ আউশ তলিয়ে গিয়েছিলো। এতে কৃষকরা ব‌্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। রোপা আমনে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেরকে। সরকারি প্রণোদনাও অব্যাহত আছে। এবার ভাল ফলন এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৭৯ হাজার ১৫০ হেক্টর। উঁচু জমিতে রোপণ শেষ। পানি সরে যাওয়ায় নিচু জমিতেও রোপণ চলছে। দ্রুত শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রোপা আমনের মাধ্যমে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।’

তিনি জানান, জেলার বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, বাহুবল আজমিরীগঞ্জ, লাখাই উপজেলার গভীর হাওরে শুধুমাত্র বোরো ধানের চাষ হয়। তবে হাওর এলাকার উঁচু জমিতে একাধিক ফসল হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোপা আমনে আউশের ক্ষতি পোষাণোর স্বপ্ন হবিগঞ্জের চাষিদের

আপডেট টাইম : ০৯:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জে পুরোদমে চলছে রোপা আমনের চাষাবাদ। এখন শেষ পর্যায়ে। বিশেষ করে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া আউশ ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হাওর এলাকার কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

হাওর ছাড়া উঁচু জমিতে রোপা আমন রোপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর আগে পাহাড়ি ঢলে হাওরসহ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আউশ ধানের বেশ ক্ষতি হয়। কৃষকদের ধারণা রোপা আমনে সে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

জেলার লাখাই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে এবারের রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৫০ হেক্টর। এরই মধ‌্যে লাখাই উপজেলায় এক হাজার ৭০০ হেক্টর রোপণ হয়েছে।

কৃষক ভিংরাজ মিয়া, সবুজ মিয়া, খায়রুল আলম, রুয়েল মিয়া, হোসেন মিয়া বলেন— ‘টানা বৃষ্টির পাহাড়ি ঢলে নিচু জমিতে আউশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে আমরা রোপা আমনের ওপর জোর দিয়েছি। আশা করা যাচ্ছে ভাল ফলন আসবে। এতে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব হবে।’

লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজহার মাহমুদ জানান, বন্যায় এবার প্রায় ৭০ শতাংশ আউশ তলিয়ে গিয়েছিলো। এতে কৃষকরা ব‌্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন। রোপা আমনে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেরকে। সরকারি প্রণোদনাও অব্যাহত আছে। এবার ভাল ফলন এবং লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৭৯ হাজার ১৫০ হেক্টর। উঁচু জমিতে রোপণ শেষ। পানি সরে যাওয়ায় নিচু জমিতেও রোপণ চলছে। দ্রুত শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রোপা আমনের মাধ্যমে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।’

তিনি জানান, জেলার বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, বাহুবল আজমিরীগঞ্জ, লাখাই উপজেলার গভীর হাওরে শুধুমাত্র বোরো ধানের চাষ হয়। তবে হাওর এলাকার উঁচু জমিতে একাধিক ফসল হয়।