ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর নিজের চিন্তার ফসল ছয় দফা : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
  • ১৮৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সোপান হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রণয়ন করেছিলেন, তার পুরোটা নিজের চিন্তা থেকে তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ছয় দফা প্রণয়নটা এটা অনেকে অনেকভাবে বলতে চায়। কেউ এর পরামর্শ, ওর পরামর্শ… কিন্তু আমি নিজে জানি যে, এটা তার (বঙ্গবন্ধুর) সম্পূর্ণ নিজের চিন্তার ফসল। কারণ তাকে যখন গ্রেফতার করা হলো ১৯৫৮ সালে এবং তিনি ১৯৫৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্তি পান, সেই সময় রাজনীতি নিষিদ্ধ। (তিনি) ঢাকার বাইরে যেতে পারতেন না, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। “তখন তিনি চাকরি নিলেন আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে। তখন তাজউদ্দিন সাহেব গ্রেফতার ছিলেন। পরে মুক্তি পেয়ে উনি একটা চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়নগঞ্জের ফতুল্লাতে। বঙ্গবন্ধু নিজে গিয়ে তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে এসে আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি দিলেন। মোহাম্মদ হানিফ, তাকেও কিন্তু আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি দিলেন তার পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) হিসেবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজে বসে বসে চিন্তা করতেন, নিজেই লিখতেন এবং হানিফকে দিয়ে এটা টাইপ করাতেন। একমাত্র হানিফ জানতো, সেই টাইপ করেছিল এছাড়া কিন্তু আর কারো জানা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ তার (বঙ্গবন্ধু) নিজের চিন্তার থেকে এই ছয় দফাটা কিন্তু তৈরি করা।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যখন লাহোরে যান, লাহোরে গিয়ে এটা পেশ করার চেষ্টা করেন, সেখানে প্রচন্ড বাধা আসে। বাধা পাওয়ার পর তিনি ওখানেই একটা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কাছে এটা তুলে ধরেন। তারপর ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।’ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার বিভিন্ন উদ্যোগের একটি পর্যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে আজকে স্বাধীন দেশ, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি, আমাদের আত্মপরিচয় সুযোগ হয়েছে, আত্মমর্যাদার সুযোগ হয়েছে, এ সুযোগটা যিনি এনে দিয়েছিলেন এবং কীভাবে তিনি দিয়েছিলেন তারই একটি পর্যায় হচ্ছে এই ছয় দফা।’

করোনাভাইরাসের কারণে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে না পেরে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য এটুকু যে যেখানে নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কারটা হাতে তুলে দেয়া যেতৃ আরও খুশি হতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে করোনাভাইরাস নামে এমন একটা ভাইরাস শুধু বাংলাদেশ না, সারাবিশ্বে দেখা গেছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটা অস্বাভাবিক হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে কারও জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাইনি।’

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে কয়েকটি আলাদা আলাদা রাষ্ট্র হবে। কিন্তু সেটাকেও পরিবর্তন করা হয়েছিল। পাকিস্তান হলো এবং আমাদের এই ভূখন্ডকে তার একটা অঙ্গরাজ্য করা হলো। দুর্ভাগ্য হলো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে বঞ্চনার শিকার হতে হলো আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের। রাজধানী নিয়ে গেল করাচিতে যেখানে মরুভ‚মি। আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিল। বাংলায় কথা বলতে দেবে না, উর্দু শিখতে হবে। এরই প্রতিবাদ শুরু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

‘আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উদ্যোগ নিলেন। তারই প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার একটা কমিটি গঠন হলো এবং সেখান থেকে আন্দোলন শুরু। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, আমাদের দেশের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অধিকার আন্দোলন- এসব আন্দোলন নিয়েই কিন্তু আবার নতুন করে যে সংগ্রাম শুরু, এই সংগ্রাম পথ বেয়েই কিন্তু আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে জাতির পিতা যেই পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথ ধরেই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই বাংলাদেশকে যদি আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা করতে চাই তাহলে অবশ্যই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের এই বিজয়কে সমুন্নত রাখতে হবে।”

প্রথানমন্ত্রী বলেন, “আজকে শুধু বাংলাদেশ না সারাবিশ্বব্যাপী জাতির পিতা জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল, এমনকি জাতিসংঘও উদ্যোগ নিয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে হয়নি। তবে জাতিসংঘ ইতিমধ্যে একটা স্ট্যাম্প রিলিজ করেছে, আপনারা জানেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে অনেক কর্মসূচি নিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সারাদেশের ৩৫টি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে ১০০ জন বিজয়ীসহ প্রতিযোগীরা সংযুক্ত ছিল। এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৯ প্রতিযোগী অংশ নেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বঙ্গবন্ধুর নিজের চিন্তার ফসল ছয় দফা : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সোপান হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রণয়ন করেছিলেন, তার পুরোটা নিজের চিন্তা থেকে তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ছয় দফা প্রণয়নটা এটা অনেকে অনেকভাবে বলতে চায়। কেউ এর পরামর্শ, ওর পরামর্শ… কিন্তু আমি নিজে জানি যে, এটা তার (বঙ্গবন্ধুর) সম্পূর্ণ নিজের চিন্তার ফসল। কারণ তাকে যখন গ্রেফতার করা হলো ১৯৫৮ সালে এবং তিনি ১৯৫৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্তি পান, সেই সময় রাজনীতি নিষিদ্ধ। (তিনি) ঢাকার বাইরে যেতে পারতেন না, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। “তখন তিনি চাকরি নিলেন আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে। তখন তাজউদ্দিন সাহেব গ্রেফতার ছিলেন। পরে মুক্তি পেয়ে উনি একটা চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন নারায়নগঞ্জের ফতুল্লাতে। বঙ্গবন্ধু নিজে গিয়ে তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে এসে আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি দিলেন। মোহাম্মদ হানিফ, তাকেও কিন্তু আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি দিলেন তার পিএ (ব্যক্তিগত সহকারী) হিসেবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিজে বসে বসে চিন্তা করতেন, নিজেই লিখতেন এবং হানিফকে দিয়ে এটা টাইপ করাতেন। একমাত্র হানিফ জানতো, সেই টাইপ করেছিল এছাড়া কিন্তু আর কারো জানা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ তার (বঙ্গবন্ধু) নিজের চিন্তার থেকে এই ছয় দফাটা কিন্তু তৈরি করা।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যখন লাহোরে যান, লাহোরে গিয়ে এটা পেশ করার চেষ্টা করেন, সেখানে প্রচন্ড বাধা আসে। বাধা পাওয়ার পর তিনি ওখানেই একটা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কাছে এটা তুলে ধরেন। তারপর ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।’ বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার বিভিন্ন উদ্যোগের একটি পর্যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে আজকে স্বাধীন দেশ, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি, আমাদের আত্মপরিচয় সুযোগ হয়েছে, আত্মমর্যাদার সুযোগ হয়েছে, এ সুযোগটা যিনি এনে দিয়েছিলেন এবং কীভাবে তিনি দিয়েছিলেন তারই একটি পর্যায় হচ্ছে এই ছয় দফা।’

করোনাভাইরাসের কারণে সশরীরে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে না পেরে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য এটুকু যে যেখানে নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কারটা হাতে তুলে দেয়া যেতৃ আরও খুশি হতে পারতাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে করোনাভাইরাস নামে এমন একটা ভাইরাস শুধু বাংলাদেশ না, সারাবিশ্বে দেখা গেছে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটা অস্বাভাবিক হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে কারও জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাইনি।’

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে কয়েকটি আলাদা আলাদা রাষ্ট্র হবে। কিন্তু সেটাকেও পরিবর্তন করা হয়েছিল। পাকিস্তান হলো এবং আমাদের এই ভূখন্ডকে তার একটা অঙ্গরাজ্য করা হলো। দুর্ভাগ্য হলো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে বঞ্চনার শিকার হতে হলো আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের। রাজধানী নিয়ে গেল করাচিতে যেখানে মরুভ‚মি। আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিল। বাংলায় কথা বলতে দেবে না, উর্দু শিখতে হবে। এরই প্রতিবাদ শুরু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

‘আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি উদ্যোগ নিলেন। তারই প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার একটা কমিটি গঠন হলো এবং সেখান থেকে আন্দোলন শুরু। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, আমাদের দেশের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অধিকার আন্দোলন- এসব আন্দোলন নিয়েই কিন্তু আবার নতুন করে যে সংগ্রাম শুরু, এই সংগ্রাম পথ বেয়েই কিন্তু আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে জাতির পিতা যেই পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথ ধরেই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এই বাংলাদেশকে যদি আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা করতে চাই তাহলে অবশ্যই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের এই বিজয়কে সমুন্নত রাখতে হবে।”

প্রথানমন্ত্রী বলেন, “আজকে শুধু বাংলাদেশ না সারাবিশ্বব্যাপী জাতির পিতা জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল, এমনকি জাতিসংঘও উদ্যোগ নিয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে হয়নি। তবে জাতিসংঘ ইতিমধ্যে একটা স্ট্যাম্প রিলিজ করেছে, আপনারা জানেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে অনেক কর্মসূচি নিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সারাদেশের ৩৫টি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে ১০০ জন বিজয়ীসহ প্রতিযোগীরা সংযুক্ত ছিল। এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৯ প্রতিযোগী অংশ নেয়।