সৌদি আরব থেকে গত সাত মাসে ১৫০ বাংলাদেশি গৃহকর্মী পালিয়েছে । গতকাল বুধবার রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেটের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই গেজেটে তাঁরা পালিয়ে দেশে ফিরেছেন কি-না, তা নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
সূত্রটি জানিয়েছে, গৃহকর্মীদের অনেককেই বহিষ্কার ও গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার অনেকে পালিয়েছেন। গৃহকর্মী পালিয়ে যাওয়ার প্রধান তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে দূতাবাস। গৃহে বিশৃঙ্খলা, বাড়ির টানে মন খারাপ ও গৃহকর্তাদের দ্বারা খারাপ আচরণ।
ওই সূত্র আরো জানায়, আগামী কয়েক মাসে আরও গৃহকর্মী বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে আসবে। তবে যাঁরা পালিয়ে গেছেন, তাঁরা চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না। ২০১৫ সালে মোট ৫২ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদিতে এসেছেন। তাঁরা অধিকাংশই গৃহস্থালির কাজ করেন।
সৌদি শ্রম বিশেষজ্ঞ খালেদ আল সাইফ বলেন, ‘সৌদিতে গৃহকর্মীর চাহিদা পূরণের অবস্থায় নেই বাংলাদেশের। দুই দেশের করা শ্রম চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকার সৌদিতে পাঁচ লাখ শ্রমিক পাঠানোর প্রতিজ্ঞা করেছিল। কিন্তু এসেছে মাত্র ১৫ হাজার, যার মধ্যে ১৫০ জন পালিয়েছেন।’
অন্যদিকে সৌদি আরবে ব্যাপক আকারে গৃহকর্মীরা কর্তাদের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন- অভিবাসনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার এমন প্রতিবেদনের পর দেশটিতে গৃহকর্মী না পাঠানোর জোর দাবি ওঠে বাংলাদেশ থেকে। ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যাওয়া ইন্দোনেশীয়, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কার নারীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় আট বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছর কর্মী নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে সৌদি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে পুরুষ কর্মী না নিলেও গৃহকর্মী নিতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে সৌদি সরকার।