হাওর বার্তা ডেস্কঃ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল।
তাদের উসকানি দেওয়াও অব্যাহত রয়েছে। সব মৃত্যু ও হত্যাকাণ্ডই বেদনাদায়ক। কিন্তু পুলিশের গুলিতে সিনহার মৃত্যুর যে বিবরণ এসেছে তা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নাড়া দিয়েছে।
সিনহার মাকে ফোন করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিনহাকে হত্যার পর সেনাবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশের প্রধানের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, এই ঘটনায় ব্যক্তি জড়িত, কোন বাহিনী নয়। অপরাধী যেই হোক শাস্তি পাবে।
এই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা র্যাব সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করছে। জড়িতরা গ্রেফতার। তারপরও বিষয়টি নিয়ে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন মহল উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কোনো কোনো মহল অর্থও ব্যয় করছে, বিভিন্নভাবে ইন্ধন দিচ্ছে।
সিনহার মা ন্যায় বিচার চেয়েছেন। একই সঙ্গে প্রদীপের মতো পুলিশ বাহিনীতে যারা আছেন তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা সুষ্ঠু তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা কয়েকটি স্বার্থন্বেষী মহলের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সবকিছু ঠিক মতো চলার পরও এটা নিয়ে কারোর নাক গলানোর কথা নয়। কিন্তু কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক ও স্বার্থন্বেষী মহলের অপতত্পরতা অব্যাহত রয়েছে। গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে দেশ-বিদেশে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর টেকনাফ থানার ওসিসহ ২১ পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্ব থেকে। সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস মামলা করলে আদালতের নির্দেশে তা নথিভুক্ত করে টেকনাফ থানা।
এদিকে পুলিশের মধ্যে ঘাপটি মেরে আছে দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত অনেক কর্মকর্তা। তাদের শাস্তি দাবি সর্বমহলের। অনিয়ম, হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে সম্প্রতি পুলিশের তিন জন ওসি বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।