ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়কে ঝরলো ২৩ প্রাণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • ১৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ। গতকাল দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন। এরমধ্যে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬ জন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ২, সিংগাইরে ২, রূপগঞ্জে ২, শেরপুরে এনজিও কর্মী ও খুলনায় স্কুলশিক্ষক রয়েছেন।  এছাড়া রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় এক নারী ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ও শনির আখড়ায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতরা হলেন, শাকিল নাহার (৩০) ও মো. পারভেজ (২৮)। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মানকোন বোর্ডঘর এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন সহ ৭ জন নিহত হয়েছে। জানা যায়, বেলা সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো- ব-১১-৮৩০৪) জামালপুর যাওয়ার পথে মুক্তাগাছার মানকোন বোর্ডঘর এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী সিএনজিকে চাপা দেয়।

এতে সিএনজি ড্রাইভারসহ ৭ জন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসসহ ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো- সিএনজি ড্রাইভার আলাদুল (৩৫) চেচুয়া শ্রীরামবাড়ী ও নজরুল ইসলাম (৩৫) ইচাখালী, মুক্তাগাছা। অন্যদের মধ্যে তাসলিমা (২৮) ও তার কন্যা লিজা (১২) নূরু (৩৫) এই ৩ জনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে। বাকি ২ জনের পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এদিকে রাজিব গাড়ির ড্রাইভার কামাল হোসেন (৫৩) এর বাড়ী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার হুগলামনিয়া গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা যায়, নিহতরা সকলেই শ্রমিক শ্রেণির লোক। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে মুক্তাগাছা আসছিল। এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে ঢাকা ফেরত রয়েল পরিবহনের চাপায় পথচারী ও ভ্যানচালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, তিতুদহ এলাকার মিলন (৪০), সোহাগ (২০), শরীফ (৩০), রাজু (৩০), ষষ্টি (৩৫) ও কালু (৪৫)। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ জানান, গতকাল সকালে রয়েল পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিল। পথে সরোজগঞ্জ বাজারে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি ভ্যান ও ভটভটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুইজন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চারজন মারা যান।

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কের বাস্তা এলাকায় লেগুনার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আইড়মারা গ্রামের আসালত খানের ছেলে আশরাফ খান ও লেগুনার যাত্রী মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরতলা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল্লাহ মারা যান।

সিংগাইর থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর সড়কের সিংগাইর বাস্তা বাস্ট্যান্ড এলাকায় হেমায়েতপুরগামী যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে-বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রী নিয়ে লেগুনা ও মোটরসাইকেল সড়কের পাশের খাদের পানিতে ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় লেগুনার ভিতরে থাকা ৮ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ পানিতে তলিয়ে যায়। প্রায় দুইঘণ্টা পর আব্দুল্লাহকে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় আশরাফ খানকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে রবিউল ইসলাম (৭) এবং মো. জামাল হোসেন (৬৫)। সাটুরিয়া থানার এসআই সামছুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাটুরিয়ার হরগজ পূর্বনগর মসজিদের সামনের সড়কে শিশু রবিউল ইসলাম রাস্তা পার হবার সময় অটো ভ্যানের চাপায় ঘটনা স্থলেই মারা যায়। সে ধূল্যা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র।

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাটি বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সিএনজির আরো দুই যাত্রী। শুক্রবার রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ভুলতা-আড়াইহাজার সড়কের ডহরগাঁও এলাকায় ঘটে এ দুর্ঘটনা। রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জসিমউদ্দিন জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুলতা থেকে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশাটি আড়াইহাজার যাচ্ছিল। ডহরগাঁও এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাটি বোঝাই ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিলে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে সিএনজিচালক নাসিরউদ্দিন (২৫) ও যাত্রী মো. ওয়াজিদ (২৪)। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে সিএনজিযাত্রী নুরুন্নবী ও নাছির হোসেন।

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইমান আলী মোল্লা (৬৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ডুমুরিয়ার আঙ্গারদহা দাখিল মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দিলীপ কুমার রায় (৩৫) নামে একজন এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিনগত রাত অনুমান দশটার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের স্থানীয় উপজেলা পরিষদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দিলীপ কুমার রায় কুড়িগ্রামের উলীপুর উপজেলার গাড়িবাকসী গ্রামের তারাপদ রায়ের ছেলে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সড়কে ঝরলো ২৩ প্রাণ

আপডেট টাইম : ১০:১৯:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ। গতকাল দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন। এরমধ্যে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ৬ জন, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ২, সিংগাইরে ২, রূপগঞ্জে ২, শেরপুরে এনজিও কর্মী ও খুলনায় স্কুলশিক্ষক রয়েছেন।  এছাড়া রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় এক নারী ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ ও শনির আখড়ায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতরা হলেন, শাকিল নাহার (৩০) ও মো. পারভেজ (২৮)। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে-

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মানকোন বোর্ডঘর এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন সহ ৭ জন নিহত হয়েছে। জানা যায়, বেলা সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা থেকে জামালপুরগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো- ব-১১-৮৩০৪) জামালপুর যাওয়ার পথে মুক্তাগাছার মানকোন বোর্ডঘর এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী সিএনজিকে চাপা দেয়।

এতে সিএনজি ড্রাইভারসহ ৭ জন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসসহ ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো- সিএনজি ড্রাইভার আলাদুল (৩৫) চেচুয়া শ্রীরামবাড়ী ও নজরুল ইসলাম (৩৫) ইচাখালী, মুক্তাগাছা। অন্যদের মধ্যে তাসলিমা (২৮) ও তার কন্যা লিজা (১২) নূরু (৩৫) এই ৩ জনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে। বাকি ২ জনের পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এদিকে রাজিব গাড়ির ড্রাইভার কামাল হোসেন (৫৩) এর বাড়ী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার হুগলামনিয়া গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা যায়, নিহতরা সকলেই শ্রমিক শ্রেণির লোক। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে মুক্তাগাছা আসছিল। এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে ঢাকা ফেরত রয়েল পরিবহনের চাপায় পথচারী ও ভ্যানচালকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, তিতুদহ এলাকার মিলন (৪০), সোহাগ (২০), শরীফ (৩০), রাজু (৩০), ষষ্টি (৩৫) ও কালু (৪৫)। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ জানান, গতকাল সকালে রয়েল পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিল। পথে সরোজগঞ্জ বাজারে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি ভ্যান ও ভটভটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুইজন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চারজন মারা যান।

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কের বাস্তা এলাকায় লেগুনার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আইড়মারা গ্রামের আসালত খানের ছেলে আশরাফ খান ও লেগুনার যাত্রী মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরতলা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল্লাহ মারা যান।

সিংগাইর থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর সড়কের সিংগাইর বাস্তা বাস্ট্যান্ড এলাকায় হেমায়েতপুরগামী যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে-বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রী নিয়ে লেগুনা ও মোটরসাইকেল সড়কের পাশের খাদের পানিতে ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় লেগুনার ভিতরে থাকা ৮ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ পানিতে তলিয়ে যায়। প্রায় দুইঘণ্টা পর আব্দুল্লাহকে মৃত অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় আশরাফ খানকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে রবিউল ইসলাম (৭) এবং মো. জামাল হোসেন (৬৫)। সাটুরিয়া থানার এসআই সামছুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাটুরিয়ার হরগজ পূর্বনগর মসজিদের সামনের সড়কে শিশু রবিউল ইসলাম রাস্তা পার হবার সময় অটো ভ্যানের চাপায় ঘটনা স্থলেই মারা যায়। সে ধূল্যা গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র।

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাটি বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সিএনজির আরো দুই যাত্রী। শুক্রবার রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ভুলতা-আড়াইহাজার সড়কের ডহরগাঁও এলাকায় ঘটে এ দুর্ঘটনা। রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জসিমউদ্দিন জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুলতা থেকে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশাটি আড়াইহাজার যাচ্ছিল। ডহরগাঁও এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাটি বোঝাই ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিলে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে সিএনজিচালক নাসিরউদ্দিন (২৫) ও যাত্রী মো. ওয়াজিদ (২৪)। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে সিএনজিযাত্রী নুরুন্নবী ও নাছির হোসেন।

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইমান আলী মোল্লা (৬৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ডুমুরিয়ার আঙ্গারদহা দাখিল মাদরাসার সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দিলীপ কুমার রায় (৩৫) নামে একজন এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিনগত রাত অনুমান দশটার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের স্থানীয় উপজেলা পরিষদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দিলীপ কুমার রায় কুড়িগ্রামের উলীপুর উপজেলার গাড়িবাকসী গ্রামের তারাপদ রায়ের ছেলে।