আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগারগাঁওস্থ ইসি সচিবালেয়ে নিজ কক্ষে সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছি। কাজেই ভোটাররা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। কোনো সমস্যা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে খবর পেয়েছি, তাতে আমরা অন্তত আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। যারা দায়িত্বে অবহেলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অব্যবস্থাপনা বা অনিয়ম হলে যেন তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
শাহ নেওয়াজ আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ভোটের আগের রাতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে তা পৌঁছে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ (সোমবার) রাত ১২টার পর সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ। ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। এ ছাড়া বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছি। যারা ভোটার না তাদের আমরা এলাকা ছাড়তে বলেছি।’
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা যে এলাকার ভোটার, তারা সেখানে থাকবেন। আর যারা বহিরাগত তারা নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে যাবেন। কোনো পজিশন ছাড়াই বলছি।’
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় মন্ত্রী-এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অবস্থান করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ইসি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিঠি দিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছে।
জঙ্গি তৎপরতার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আমরা তাদের সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছি। যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তারা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’
‘তারা মনে করলে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশি প্রয়োজন, সেখানে বৃদ্ধি করবে। এতে আপত্তি থাকবে না,’ বলেন শাহ নেওয়াজ।
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী দল যারা থাকবে, তারা অভিযোগ করবে, এটা একটা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা যেগুলো বাস্তবসম্মত সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’