আগামী ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। এই আসরকে সামনে রেখে আগামীকাল সোমবার ও মঙ্গলবার আইসিসি ও বিসিবি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিকিউরিটি ব্রিফিংয়ে বসবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়নি। তবে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সফর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে। গত অক্টোবরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সিনিয়র দলের বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর নভেম্বরে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাও তাদের নারী দলের বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলো।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারির করার পর গত সেপ্টেম্বরে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান সেন ক্যারোল বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। আগামীকাল আবার বাংলাদেশে আসছেন তিনি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটের মোট আটটি ভেন্যুতে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে আইসিসি এই টুর্নামেন্টের নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়ে ঢাকায় মিটিং করেছে।
একজন আইসিসি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামীকাল ও সোমবারের ব্রিফিং হচ্ছে গত মিটিংয়ের ফলো-আপ। আইসিসি ও বিসিবি টুর্নামেন্টের পরিপূর্ণ নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
বিসিবির সিইও নিজামুদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সব দলের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হয় না। তাদের যোগাযোগ হয় আইসিসির সঙ্গে। যদি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় সেক্ষেত্রে দুই বোর্ডের মধ্যে যোগাযোগ হয়।
তিনি আরও বলেছেন, বিসিবি অংশগ্রহণকারী সব দলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে আমাদের মনোযোগ টুর্নামেন্ট সফল করা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যে নিরাপত্তা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। অতীতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে এমন নিরাপত্তা দেয়া হয়নি। ভবিষ্যতেও এমন হবে কিনা তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।