নওয়াজ শরিফের নাতনির বিয়েতে মোদি

মস্কো থেকে কাবুল হয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল মোদির। অথচ কয়েক ঘণ্টার সিদ্ধান্তে বিকেলে লাহোরে নেমে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর বিমান। তাকে স্বাগত জানালেন নওয়াজ শরিফ। এরপর শরিফের নাতনির বিয়ে উপলক্ষ্যে তার বাড়িতে গেলেন মোদি। এরই ফাঁকে হল বৈঠকও। মোদির স্টপওভার ডিপ্লোমেসি ঘিরে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। ভারত-পাক সম্পর্কের চড়াই-উতরাইয়ের মাঝে নাটকীয় মোড়। প্রথমবার পাকিস্তান সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অটলবিহার বাজপেয়ীর ঐতিহাসিক লাহোর যাত্রার বারো বছর পর এই প্রথম পাক ভুখণ্ডে পা রাখলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর ইস্যু তো ছিলই। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে পাক কূটনৈতিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত বা সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন। একের পর এক ঘটনায় সম্প্রতি ভারত পাক সম্পর্কে তিক্ততা চরমে উঠেছিল। জিনিউজের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। কাবুল থেকে দিল্লি ফেরার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সকালে নওয়াজ শরিফকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। তারপরই তার ট্যুইট “লাহোরে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি। দিল্লি ফেরার পথে একবার ঘুরে যাব। ‘ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটার কিছু আগে লাহোর বিমানবন্দরে নামলো প্রধানমন্ত্রীর বিমান। অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে ফ্রেমবন্দি হল দুই নেতার উষ্ণ আলিঙ্গন। তারপর আবার বিমানে করে রায়উইন্দ। রায়উইন্দে শরিফের পৈত্রিক বাড়িতে ছিল তার নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান। জমজমাট বিয়ে বাড়িতেই ভিভিআইপি অতিথিকে নিয়ে যান শরিফ। অনুষ্ঠানের ফাঁকেই হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। কিন্তু কেন এই সারপ্রাইজ স্টপওভার? ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটা কার্যকরী সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপর্ণ তা মোদি জানেন। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে পাকিস্তানকেও যে একটু চাপে রাখা যাবে, তাও জানেন তিনি। আর তাই বার্থডে এবং ওয়েডিং ডিপ্লোমেসির এই সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না প্রধানমন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর