ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলে নাসার নতুন ইতিহাস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
  • ২১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অনেক আগেই। এরপর মানুষ চোখ রাখে মঙ্গলের দিকে। লাল রঙের এই গ্রহটিতে পৌঁছানোর ইচ্ছেও মানুষ বহুবছর ধরে লালন করে আসছে। কিন্তু খুব সহসাই সে ইচ্ছে পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নাসা মঙ্গলে এরইমধ্যে একাধিক রোবট পাঠিয়েছে। কিন্তু মানুষের পায়ের ছাপ সেখানে কবে পড়বে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবার মঙ্গলগ্রহে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিশন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে নাসার নতুন রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’। এটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করবে।

সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহের ঘুর্ণনের গতির কারণে দুই গ্রহের দূরত্ব সঠিক থাকে না। এ কারণে পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব ৩ কোটি ৪০ লাখ মাইল থেকে ২৫ কোটি মাইলের মধ্যে থাকে। গড়ে এই দুই গ্রহের দূরত্ব ১৪ কোটি মাইল। এর আগে মঙ্গলে নাসা যে মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান পাঠিয়েছে সেগুলো পৌঁছাতে ১২৮ দিন থেকে ৩৩৩ দিন সময় নিয়েছে।

নতুন রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’ মঙ্গলের দিকে উড়ে গেছে আটলাস ভি-৫৪১ রকেটে চেপে। ছবি: নাসা

নতুন রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’-এ ২৩টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা, মাইক্রোফোনসহ প্রচুর ছোটখাটো যন্ত্র রয়েছে। যা মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহের পর প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট পাঠাবে নাসার দফতরে। যেহেতু রোভারটি জৈব ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের কাজ করবে, তাই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি-না তা অনেকটাই স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

মঙ্গলগ্রহে নতুন রোভারের পৌঁছাতে সময় লাগবে ৭ মাস। যদি এতে নভোচারী থাকতো, তাহলে মানসিক অবস্থা কেমন হবে তা নিয়েও ভাবতে হবে গবেষকদের। মঙ্গলের মাটিতে যখন তারা পৌঁছাবে, তখনো স্পেসস্যুটের ভেতরেই তাদের থাকতে হবে। কারণ, মঙ্গলের তাপমাত্রা খুবই চরমভাবাপন্ন এবং তা একদিনের মধ্যেই ১৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত বদলে যেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মঙ্গলে নাসার নতুন ইতিহাস

আপডেট টাইম : ০৩:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অনেক আগেই। এরপর মানুষ চোখ রাখে মঙ্গলের দিকে। লাল রঙের এই গ্রহটিতে পৌঁছানোর ইচ্ছেও মানুষ বহুবছর ধরে লালন করে আসছে। কিন্তু খুব সহসাই সে ইচ্ছে পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নাসা মঙ্গলে এরইমধ্যে একাধিক রোবট পাঠিয়েছে। কিন্তু মানুষের পায়ের ছাপ সেখানে কবে পড়বে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবার মঙ্গলগ্রহে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিশন শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে নাসার নতুন রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’। এটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করবে।

সূর্যের চারপাশে পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহের ঘুর্ণনের গতির কারণে দুই গ্রহের দূরত্ব সঠিক থাকে না। এ কারণে পৃথিবী থেকে মঙ্গলের দূরত্ব ৩ কোটি ৪০ লাখ মাইল থেকে ২৫ কোটি মাইলের মধ্যে থাকে। গড়ে এই দুই গ্রহের দূরত্ব ১৪ কোটি মাইল। এর আগে মঙ্গলে নাসা যে মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান পাঠিয়েছে সেগুলো পৌঁছাতে ১২৮ দিন থেকে ৩৩৩ দিন সময় নিয়েছে।

নতুন রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’ মঙ্গলের দিকে উড়ে গেছে আটলাস ভি-৫৪১ রকেটে চেপে। ছবি: নাসা

নতুন রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’-এ ২৩টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা, মাইক্রোফোনসহ প্রচুর ছোটখাটো যন্ত্র রয়েছে। যা মঙ্গলের নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহের পর প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট পাঠাবে নাসার দফতরে। যেহেতু রোভারটি জৈব ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের কাজ করবে, তাই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি-না তা অনেকটাই স্পষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

মঙ্গলগ্রহে নতুন রোভারের পৌঁছাতে সময় লাগবে ৭ মাস। যদি এতে নভোচারী থাকতো, তাহলে মানসিক অবস্থা কেমন হবে তা নিয়েও ভাবতে হবে গবেষকদের। মঙ্গলের মাটিতে যখন তারা পৌঁছাবে, তখনো স্পেসস্যুটের ভেতরেই তাদের থাকতে হবে। কারণ, মঙ্গলের তাপমাত্রা খুবই চরমভাবাপন্ন এবং তা একদিনের মধ্যেই ১৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত বদলে যেতে পারে।