জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কবিতার লাইন উষার দুয়ারে হানি আঘাত, আমরা আনিব রাঙা প্রভাত । এমন কবিতার লাইনটার কথাগুলো ২০১৫ সালে পুর্ণ করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চলতি বছরটা তো বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ‘রাঙা প্রভাত’-ই!
২০১৫ বিশ্বকাপে মাশরাফির নেতৃত্বে ক্রিকেট কুলের প্রথম সারির দলগুলোকে নাকানি-চুবানি দিয়েছে টাইগাররা। সাফল্যটার শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ দিয়ে। এরপর ঘরের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা বদ দিয়ে ।
ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে প্রথমবারেরমত হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করার মধ্যে দিয়ে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের সাফল্য-যাত্রা শুরু। পাকিস্তানের কাছে টেস্ট হারলেও এক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি জিতে নিয়েছিল মাশরাফির বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১০৩) । শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি হাঁকান জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। ঘরের মাটিতে দ্বিতীয় সাফল্যটি এসেছে ভারতের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টি২০ হাড়লেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ জিতে টাইগাররা ।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের ‘বিতর্কিত’ হার এবং ফাইনালে ট্রফি প্রদান করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার কারণে আইসিসির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান আহম মুস্তফা কামাল।
জাতীয় দলে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব মুস্তাফিজুর রহমানের। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনায় আসেন ‘কাটার স্পেশালিস্ট’ মুস্তাফিজুর রহমান।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তার ব্যাট থেকে আসে ২০৬ রান। এর সুবাদে বাংলাদেশি কোনও ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ইকবাল টানা তিনটি টেস্টে সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েন।
পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে রাঙ্কিংয়ে সাতে রয়েছে বাংলাদেশ। যা টাইগারদের র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ।
পাকিস্তান, ভারতের পর টাইগারদের তৃতীয় শিকার দক্ষিণ আফ্রিকা। জুলাইয়ে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।