ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোববার মিঠামইনে ছোট ভাই আবদুল হাই এর জানাজা-দাফনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • ২৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতির স্নেহের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কে রবিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাবার কবরের পাশেই দাফন করবেন জানা গেছে। রবিবার বিকেল ৩ টায় নিজ বাড়িতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাবার কবরের পাশেই দাফন করবেন রাষ্ট্রপতির প্রিয় ছোট ভাই আব্দুল হাইকে। জানাজায় তিনি ও উপস্থিত থাকবেন পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পরে মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে। স্নেহের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এঁর নামাজে জানাজা এবং দাফনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

পরে গত ৫ জুলাই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১২ জুলাই থেকে তাঁকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম হাজী তায়েব উদ্দিন এর ৫ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন পঞ্চম।

ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হাই বিবাহিত। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। দুই মেয়ে চিকিৎসক ও ছেলে প্রকৌশলী।

একজন সৎ, বিনয়ী, সংস্কৃতিমনা সাদা মনের মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই। তার সরলতা ও সহজিয়া চরিত্রের জন্য আত্মীয়-স্বজন ও বড় ভাইয়ের কাছে তিনি ছিলেন কাছের মানুষ।

পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয়। সবার বড় আব্দুল গনি ও তৃতীয় আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন। রাষ্ট্রপতির একমাত্র ছোট বোন আছিয়া আলম বর্তমানে মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এঁর বড়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হলে আবদুল হাই তাঁর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে যোগ দেন। আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকার হলে তাঁকে আবারও সহকারী একান্ত সচিব করা হয়।

পরে মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে জাতীয় সংসদের উপ-পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

সেখান থেকে অবসরে যাওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান।

তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রোববার মিঠামইনে ছোট ভাই আবদুল হাই এর জানাজা-দাফনে থাকবেন রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৮:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতির স্নেহের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কে রবিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাবার কবরের পাশেই দাফন করবেন জানা গেছে। রবিবার বিকেল ৩ টায় নিজ বাড়িতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাবার কবরের পাশেই দাফন করবেন রাষ্ট্রপতির প্রিয় ছোট ভাই আব্দুল হাইকে। জানাজায় তিনি ও উপস্থিত থাকবেন পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পরে মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে। স্নেহের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এঁর নামাজে জানাজা এবং দাফনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

পরে গত ৫ জুলাই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১২ জুলাই থেকে তাঁকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।

সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম হাজী তায়েব উদ্দিন এর ৫ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন পঞ্চম।

ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল হাই বিবাহিত। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। দুই মেয়ে চিকিৎসক ও ছেলে প্রকৌশলী।

একজন সৎ, বিনয়ী, সংস্কৃতিমনা সাদা মনের মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই। তার সরলতা ও সহজিয়া চরিত্রের জন্য আত্মীয়-স্বজন ও বড় ভাইয়ের কাছে তিনি ছিলেন কাছের মানুষ।

পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয়। সবার বড় আব্দুল গনি ও তৃতীয় আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন। রাষ্ট্রপতির একমাত্র ছোট বোন আছিয়া আলম বর্তমানে মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই এঁর বড়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হলে আবদুল হাই তাঁর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে যোগ দেন। আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদের স্পিকার হলে তাঁকে আবারও সহকারী একান্ত সচিব করা হয়।

পরে মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে জাতীয় সংসদের উপ-পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

সেখান থেকে অবসরে যাওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ পান।

তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।