আজ রবিবার সকালে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) দিবস-২০১৫ উদযাপনে কুচকাওয়াজ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় সমৃদ্ধ ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে আজকের বিজিবি ও তৎকালীন ইপিআরর গৌরবময় ভূমিকা প্রশংসনীয়। এই বাহিনী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, বিজিবিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। তাই বিজিবির সদস্যদের গড়ে তোলার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা সুনাম অর্জন করবেন। তিনি বলেন, আপনাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পর মুখাপেক্ষি নই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। কারো কাছে মাথা নত করবো না আমরা। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবো।
২০০৯ সালের মতো আর যেন আত্মঘাতী সংঘর্ষ না ঘটে সেদিকে বিজিবিকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাহিনী দুঃসাহসী কাজ করেছিলো বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তৎকালীন ইপিআরর বেতারকর্মীরা এই পিলখানা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সমগ্র দেশে প্রচার করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেস যোগে প্রচার করায় ইপিআরের সুবেদার মেজর শওকত আলী এবং আরও ৩ সদস্যকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।